img

Follow us on

Saturday, Apr 27, 2024

MAMATA: চপ ভাজা আর মাদল বাজানোই কি মুখ্যমন্ত্রীর কাজ?

চপ ভাজা আর মাদল বাজানোই কি মুখ্যমন্ত্রীর কাজ?

  2022-11-17 19:35:12

মমতার চপ ভাজার ছবি। 

তিনি চপ ভাজছেন। ঝাড়গ্রামে বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে, আচমকাই চপের দোকান দেখে, মুখ্যমন্ত্রী নেমে পড়েছেন রাস্তায়। সটান ঢুকে গেছেন দোকানে। গিয়ে চপ ভাজতে শুরু করলেন। শুধু তাই নয় এঁকে এঁকে ডেকে ডুকে চপ বিলিও করলেন। (আম্বিয়েন্স বাইটঃ পুলিশের লোকেরা কই?... তুমি না পিছনে ... আবির নাও...) নাহ কারও কাছ থেকে পয়সা চাননি মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী চপ ভেজেছেন। মুহূর্তে সে ছবি ভাইরাল। আসলে মমতা এটাই চেয়েছিলেন।

কিন্তু এটাই কি মুখ্যমন্ত্রীর কাজ?

এর আগেও বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীরা ছিলেন। বিধান রায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ১৯৫২ সালে। ছিলেন ১৯৬২ সাল পর্যন্ত। এই ১০ বছর সময়কালের মধ্যে তিনি বানিয়েছিলেন দুর্গাপুর শিল্পনগরী, কল্যাণী শিল্পনগরী, কাজ শুরু করেছিলেন সল্টলেকের। যে কাজ শেষ হয়েছিল পরের মুখ্যমন্ত্রীর আমলে। যাকে আজকে আমরা চিনি বিধাননগর বলে। 

জ্যোতি বসুর সময়কাল ১৯৭৭ থেকে ২০০০। শ্রমিক আন্দোলনের নামে তাঁর আমলে অনেক শিল্প বন্ধ হলেও। হলদিয়া পেট্রো কেমিকেলস, সল্টলেক ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, নিউটাউন বিধান নগরের গা ঘেঁষে বানিয়েছিলেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময়কাল ২০০১ থেকে ২০১১। বুদ্ধদেবের আমলে বড় ব্যর্থতা সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রাম বার বার সামনে এসেছে। কিন্তু তিনি সিঙ্গুরে বড় শিল্প আনতে গাড়ি কারখানা শুরু করেছিলেন। নন্দীগ্রামে তৈরি হওয়ার কথা ছিল কেমিকেল হাব। মমতার শিল্পবিরোধী আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুর শেষ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায়। নন্দিগ্রামে কাজই শুরু করা যায়নি। শালবনীতে জিন্দাল গোষ্ঠীর ইস্পাত কারখানা কাজ শুরু করতে জমি দিয়েছিলেন। উদ্বোধন করেছিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জমি অধিগ্রহণ আটকে দিয়েছিল মমতার বিধংসী আন্দোলন। কিন্তু শুরু হয়েছিল বানতলায় লেদার কমপ্লেস। আজকের নবান্ন যেখানে সেখানে, হওয়ার কথা ছিল বস্ত্রশিল্পের হাব। তাঁর আমলেই প্রায় ১৫ হাজার কোটির বিনিয়োগ এসেছিল রাজ্যে। কর্মসংস্থানে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। কাজ হচ্ছিল নগরায়নের। 

এদেরই উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসেন। প্রথম বর্ষপূর্তিতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ৯০শতাংশ কাজ করে দিয়েছেন। তারপর কেটে গেছে আরও এক দশক। রাজ্যে একটা কলকারখানা থেকে নতুন করে ধোঁয়া ওড়েনি। বরং বন্ধ হওয়া কারখানা বেড়েছে। মমতার আমলে নতুন কোন ইন্ডাস্ট্রি আসেনি রাজ্যে। নির্বাচনের আগে চটশিল্প কারখানা দুমাসের জন্য খোলে তারপর ফের বন্ধ করে দেয় মালিক। সরকারের কোন ভুমিকা নেই। ২০১২- ৮ই অগাস্ট এই বেলপাহাড়িতেই সারের দাম কমানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন বলে শিলাদিত্যকে মাওবাদী তকমা জুড়ে দিয়েছিলেন এই মমতাই। ফের তিনি বেলপাহাড়িতে। বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন পালনে। সভা শেষে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী ঘিরে ধরেন গ্রামের মহিলারা অভিযোগ জানান দু কিলোমিটার উজিয়ে পানীয় জল আনতে হয় বলে। কেউ বলেন জব কার্ডের টাকা মেরে দিচ্ছে তৃণমুলের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এড়িয়ে ঢুকে পড়েন চপ দোকানে। ভাজতে শুরু করেন চপ।

ছবি হয়। প্রচার হয়। মুহূর্ত্তে মমতা ভাইরাল। এর আগেও দীঘায় গিয়ে তিনি চা বানিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গে গিয়ে মমতা বানিয়েছিলেন মোমো। সে ছবিও ভাইরাল। ব্যঙ্গে আর রসিকতায়। মিমে আর মস্করায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভাবলেন। একটা হাসিখুশি ছবি হল। ঝাড়গ্রাম ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী পিছনে ফেলে যান একটাই প্রশ্নঃ যা ঝড়ের মত ততোধিক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে 

Tags:

Mamata Banerjee

CM Mamata

CM Mamata Banerjee

Mamata

mamata banerjee latest news

mamata banerjee speech

mamata banerjee news

mamata banerjee chop shilpo

chop

mamata chop silpo

mamta banerjee

west bengal cm mamata banerjee

mamata didi

cm job

job of a cm

mamata palying madol

mamata fry chop

chop fry

play modol

cm mamata’s ‘chop-shilpo’

bidhan chandra roy

jyoti basu

buddhadeb bhattacharya

ex cm

no job


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর