img

Follow us on

Sunday, May 05, 2024

SSC Scam: 'দল পাশে নেই, তবে লড়াই ছাড়ব না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে'! বিস্ফোরক তাপস সাহা

'রাজ্যের নেতারা নামেই নেতা। মমতা-অভিষেক ছাড়া কাউকে বলে লাভ হয় না' , দাবি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের

img

তাপস সাহা।

  2023-04-22 10:26:21

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসা সিবিআই আধিকারিকরাও না কি তাঁকে এমনটা বলেছেন, দাবি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হলেও তিনি দল ছাড়বেন না। মোকাবিলা করবেন রাজনৈতিক ভাবে।

রাজনৈতিক চক্রান্ত

শুক্রবার বিকেল থেকে বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি অভিযান। একটানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে তৃণমূল বিধায়কের। বাড়ি থেকে কার্যালয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাতভর তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার সকালে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। নথি সংগ্রহের জন্য বিধায়কের বাড়িতে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তল্লাশি শেষে তাপস সাহার অভিযোগ,‘আমি চক্রান্তের শিকার’, কার চক্রান্ত? তাপস বলেন, ‘বিজেপিও চক্রান্ত করেছে, তৃণমূলও করেছে। আমি লড়াই করা মানুষ। দল ছাড়ব না। এটাকেই তো রাজনীতি বলে। যাঁরা চক্রান্ত করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।’ দলের কেউ কেউ যে তাঁর নাম বলেছেন, সে কথা নাকি শোনা গিয়েছে সিবিআই-এর মুখেও। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। দলের কোনও নেতা কথাও বলেননি তাঁর সঙ্গে।  

তদন্তে সহযোগিতা

তৃণমূল বিধায়কের কথায়, 'তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। প্রয়োজনে যা জানতে চাইবেন তাই বলব।' তবে তাঁর দু’টি ফোন এবং তাঁর ছেলের কিছু নথি সিবিআই আধিকারিকরা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন বলেও তাপস জানিয়েছেন। নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর স্কুলশিক্ষিকা ভাইঝিরও কিছু নথি। সেই প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘‘আমি সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করেছি সিবিআইকে। আমার দু’টো ফোন নিয়ে গিয়েছে। আমার ছেলের কাগজ নিয়ে গিয়েছে। আমার মেজ দাদার মেয়ের নথি নিয়ে গিয়েছে। আমার মেজ দাদার মেয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে।’’

আরও পড়ুন: সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ! সকালে তাপসের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই

দল প্রসঙ্গে তাঁর মত,'রাজ্যের নেতারা নামেই নেতা। মমতা-অভিষেক ছাড়া কাউকে বলে লাভ হয় না। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বকে বলে লাভ হয় না। মমতা-অভিষেকের কাছে চিঠি পাঠালেও পৌঁছয় না।' তিনি আরও দাবি করেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দুর্নীতি করেননি। মানিক ভট্টাচার্য করেছেন। দলের পরিস্থিতি ভালো না। ৪ বছরে টিনা সাহা ৪০ কোটির মালিক হয়েছেন।' এমনকি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক এও বলেন যে, 'মানুষের সবসময় দিন সমান যায় না। টাকা পয়সা ধার করতে হয়। আমিও করেছি। সবার শোধ করতে পারিনি।'

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

cbi

tmc

Nadia

mla

Recruitment scam

Tehatta Assembly


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর