img

Follow us on

Saturday, Apr 27, 2024

Shootout: উত্তর দিনাজপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল, বোমায় মৃত্যু সিভিকের, গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মী

উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের বিধায়ক এবং জেলা সভাপতির কোন্দল তুঙ্গে। বোমার আঘাতে মৃত্যু সিভিকের। চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বেআব্রু চেহারা দেখছে জেলাবাসী।

img

উত্তর দিনাজপুর চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, দলীয় কোন্দলের জেরে প্রকাশ্যে এল বোমা, গুলি

  2023-03-10 14:03:32

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। কোন্দলে বচসা বা হাতাহাতি গন্ডি পেরিয়ে একবারে প্রকাশ্যে বোমাবাজি, গুলি (Shootout) চালানোর ঘটনা ঘটল। বোমার আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এই ঘটনায় জেলাবাসী শাসক দলের বেআব্রু চেহারা আরও একবার প্রত্যক্ষ করলেন। এই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল এই জেলা। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে (Shootout) গুরুতর জখম হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেন। তাঁকে প্রথমে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, এই তৃণমূল নেতার উপর দুষ্কৃতীরা কেন হামলা চালাল তা পরিষ্কার নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইসলামপুর থেকে চোপড়া, একের পর এক বোমাবাজি, গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের কারণ কী? Shootout

 ইসলামপুরে মাটিকুন্ডা এলাকায়  ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দলেরই দুই নেতা শাহনওয়াজ আলম এবং মেহেবুব আলমের মধ্যে গন্ডগোল।মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকাবাসীদের দাবি, শাহনওয়াজ আলম বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। আর মেহেবুব আলম তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালার অনুগামী। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে দড়ি  টানাটানি বহুদিন ধরেই চলছে। ৮ মার্চ রাতে শাহনওয়াজের বাড়িতে প্রধান মেহেবুব আলম ও তাঁর লোকজনেরা  হামলা চালায় বলে অভিযোগ।চলে গুলি (Shootout) ও বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় শাহনওয়াজের ভাই সাকিব আকতারের।তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে  ছুটে যান ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি এই ঘটনার জন্য সরাসরি দলেরই  জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, জেলা সভাপতি সন্ত্রাস করে খুনখারাপি (Shootout) করে আমাকে দমানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ নীরব দর্শক। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশ মন্ত্রী। তারপরও এই ঘটনা ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করুন। দুদিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ৯ মার্চ রাস্তায় নেমে তৃণমূল কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। 

বিজেপির জেলার সহ সভাপতি সুরজিত্ সেন বলেন, ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে শাসক দলে। রাজ্যের পাশাপাশি এই জেলায় তৃণমূলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল লেগেই রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে যত না অস্ত্র রয়েছে, তার থেকে বেশি অস্ত্র, বোমা রয়েছে তৃণমূলের কাছে। তাই, সামান্য গন্ডগোল হলেই বোমা গুলি চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

tmc

North Dinajpur

bangla news

Bengali news

mla

tmc leader

Chopra

tmc workers

shootout

district president

islampur


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর