img

Follow us on

Friday, Apr 26, 2024

Shantanu Banerjee: শুধু চাকরি বিক্রি নয়, বদলির সুপারিশপত্রও মানিককে পাঠাতেন শান্তনু! বিস্ফোরক দাবি ইডির

Shantanu Banerjee: জানা যাচ্ছে, হুগলির চুঁচুড়ার বাবুগঞ্জ জগন্নাথ ঘাটে একটি দোতলা বাড়ি ৭০ লাখে কিনে প্রোমোটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল শান্তনুর।

img

শান্তনু ব্যানার্জি (Shantanu Banerjee)

  2023-03-13 11:30:19

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) গ্রেফতার করেছে ইডি। এর পর থেকেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, শুধু চাকরি বিক্রির টাকাই নয়, সরকারি কর্মচারীদের বাড়ির কাছে বদলির জন্যেও সুপারিশ করতেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে চাকরি বদলির বেশ কিছু সুপারিশ পত্রও। শান্তনুর সুপারিশে একাধিক জনের চাকরি হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা। এখানেই শেষ না, সেই সুপারিশ সরাসরি পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে, এমনটাই দাবি ইডির।  উল্লেখ্য, আজ শান্তনুকে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করবে ইডি।

সুপারিশপত্র পাঠানো হত মানিককে!

গত ২০ জানুয়ারিই এই তৃণমূল নেতার (Shantanu Banerjee) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই সময় তাঁর বাড়ি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, সূত্রের খবর, তল্লাশি চলাকালীন শুধুমাত্র, এসএসসি, টেট-এর প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্রই নয়, মিলেছিল সরকারি কর্মীদের বদলির সুপারিশ পত্রও। এর থেকে ইডি আধিকারিকরা ধারণা করছেন, শুধুমাত্র চাকরির বিনিময়ে টাকাই নয়, সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের পছন্দের জায়গায় বদলির বিনিময়েও টাকা নিতেন শান্তনু। আবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চাকরির সুপারিশ পত্র পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। কুন্তল, শান্তনুকে জেরা করে এমনটাই দাবি করেছে ইডি।

শুধু তাই নয়, ইডি-র কাছে শান্তনু নাকি স্বীকার করেছেন, দলীয় কর্মী অর্থাৎ, তৃণমূল সদস্যেরাও চাকরি চেয়ে হাজির হতেন তাঁর কাছে। আর এরপর মানিকের কাছে এইসব সুপারিশ পাঠাতেন শান্তনুই। তবে শুধুই মানিক ভট্টাচার্য, নাকি নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও বড় কোনও নেতা রয়েছে, তা জানতে তদন্ত জারি থাকবে বলে ইডি-র তরফে জাননো হয়েছে।

চাকরির জন্য মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা অ্যাডভান্স

টাকার বিনিময়ে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে কত টাকা করে নেওয়া হত, তাও উঠে এসেছে ইডির জেরায়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারির জন্য মাথাপিছু পাঁচ লাখ টাকা নেওয়া হত অ্যাডভান্স হিসাবে। সংগঠক শিক্ষকদের জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা নিত শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের জন্য।

শান্তনুর উত্থান...

সরকারি চাকরিতে বার্ষিক মাত্র ৬ লক্ষ টাকা বেতন হওয়া সত্ত্বেও শান্তনুর সম্পত্তির মোট মূল্য কোটি কোটি টাকারও উপরে। ফলে কীভাবে তাঁর উত্থান, তা নিয়েই কৌতূহল সবার। জানা গিয়েছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন  সামান্য একজন মোবাইল ফোনের দোকানদার। তার থেকে রকেটের গতিতে উত্থান শুরু। ইডির দাবি অনুসারে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, রিসর্ট, গেস্ট হাউস, ধাবা, বাংলোর পরে মিলেছে আরও ফ্ল্যাট এবং ৭০ লাখি বাড়িতে প্রোমোটিং-এর পরিকল্পনার তথ্যও! জানা যাচ্ছে, হুগলির চুঁচুড়ার বাবুগঞ্জ জগন্নাথ ঘাটে একটি দোতলা বাড়ি ৭০ লাখে কিনে প্রোমোটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল শান্তনুর। ইভান ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের নামে এই বাড়ি কেনার পথে এগিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা, অগ্রিম বাবদ ১৫ লক্ষ টাকাও দেন বলে দাবি বাড়ির মালিকের। ফলে পুরো হুগলি জুড়েই তাঁরই যেন সাম্রাজ্য!

Tags:

Enforcement Directorate

Manik Bhattacharya

Recruitment scam

Shantanu Banerjee


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর