কলকাতায় এসে যাদবপুরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা ধর্মেন্দ্র প্রধানের
দিলীপ ঘোষ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় সারা রাজ্য। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনার দলীয় সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কাশ্মীর ঠান্ডা হয়েছে, যাদবপুরও কাল ঠান্ডা হয়ে যাবে।’’ এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ উদাহরণ টানেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং তিনি বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে সন্ত্রাসবাদী, সমাজবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে, তা আমরা শেষ করে দিতে পেরেছি। দেখে আসুন জেএনইউ। ওখানেও প্রকাশ্যে মদ, গাঁজা খাওয়া হতো। প্রকাশ্যে আজাদি আজাদি স্লোগান তোলা হতো। সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে।’’ পাশাপাশি মেদিনীপুরের সাংসদের আরও দাবি, বাংলায় বিজেপি সরকার এলে যাদবপুরে (Jadavpur University) বিবেকানন্দের স্ট্যাচু তৈরি হবে, আর ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান চলবে।
তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএমের জাতীয় স্তরে জোটকেও এদিন নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ
একইসঙ্গে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদেরও এদিনের সভা থেকে তোপ দাগেন বিজেপি সাংসদ। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় একটি দলীয় সভা ছিল বিজেপির এবং সেখানেই দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে উঠে আসে যাদবপুর (Jadavpur University) প্রসঙ্গ। তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএমের জাতীয় স্তরে জোটকেও এদিন নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করবে সবাই, কিন্তু অন্যায়-অবিচার, খুন, ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ লড়বে না। সেই বাংলা তৈরি করা হচ্ছে। তাই তৃণমূল চুপ করে আছে।’’ ছাত্রমৃত্যু প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের আরও মন্তব্য, ‘‘ওখানে (Jadavpur University) খুন যেই করুক, এই কাজে তো বিজেপি ছিল না। সিপিএম আছে, নকশালরা আছে, কংগ্রেসের সংগঠন আছে, তৃণমূলও আছে। এবার কিন্তু বিজেপির দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না।’’
দেশবিরোধী শক্তির আখড়া যাদবপুর (Jadavpur University)
পাশাপাশি এদিন বাংলার যাদবপুর (Jadavpur University), দিল্লির জেএনইউ এবং হায়দরাবাদের ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি একই তারে জোড়া আছে বলেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বারবার মাথা দিয়ে উঠছে। এরাই ভারতকে টুকরো করার স্লোগান তোলে। তাঁর কথায়, ‘‘যাদবপুর (Jadavpur University) দেশবিরোধী শক্তির আখড়া হয়ে উঠেছে। যেসব রাজনৈতিক সংগঠন কখনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারে না, যাদের রাজনৈতিক শক্তি নেই, তারাই জেনইউ এবং যাদবপুরে রয়েছে। আমার আপনার বাড়ির ছেলে কখনও কমিউনিজম কী জানে না, নকশাল রাজনীতি বোঝে না, কিন্তু সে ওখানে গিয়ে অতি বাম হয়ে যায়! আসলে সেই পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাদবপুরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এ প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, ‘‘ওই সময় (Jadavpur University) বাবুল-অগ্নিমিত্রা পলের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। বাবুলকে থাপ্পড় মারা হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল তাঁকে গিয়েছিলেন উদ্ধার করতে। তাঁকেও কালো পতাকা দেখিয়ে গাড়ি আটকানো হয়েছিল। তারপর আমাদের লোকেরা গিয়ে অফিস উড়িয়ে দিয়েছিল, যেখানে তারা বসে মদ খেতো।’’
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে নিশানা করলেন। যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান, যাদবপুর (Jadavpur University) দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। তবে এটা পরিষ্কার হোক যে র্যাগিং রুখতে ইউজিসি-র গাইডলাইনকে মানা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর দায় নিতে হবে। কোনও ছাত্রকে র্যাগিং করার অধিকার নেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।