Mosquito Repellent Plants: এমন ১০টি গাছ রয়েছে যা মশাকে প্রতিরোধ করে! জানেন কি?

বৃষ্টির জল জমে বর্তমানে রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ অতি মারাত্মক। এছাড়াও মশাবাহিত রোগের ম্যালেরিয়া, চিকেনগুনিয়া, জাপানিজ এনসেফালাইটিস ইত্যাদির প্রদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ডাঁই করা, বুজে থাকা নালা-নর্দমা মশার আঁতুরঘর হয়ে ওঠে। এই মশাবাহিত রোগে মানুষের মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। রাসায়নিক কৃত্রিম কীটনাশকগুলি মশা দমনে সাহায্য করলেও তাঁর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে মারাত্মক। তাই মশা থেকে বাঁচতে কিছু গাছ ভীষণ উপকারী। আসুন জেনে নেব এই সব গাছগুলির গুরুত্ব।

সাইট্রোনেলা — এই গাছ একটি বহুবর্ষজীবী ঘাস জাতীয় গাছ। এই গাছ থেকে বেশ সুন্দর সুগন্ধ নির্গত হয়। এই গাছের চারপাশে মশা থাকতে পারে না। এই গাছ খুব বেশি ৫-৬ ফিট লম্বা হয়। গাছের জন্য সূর্যের আলো খুব একটা প্রয়োজন হয় না। ফলে, বাড়িতে সহজেই রাখা যায়

ক্যাটমিন্ট— কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ হল ক্যাটমিণ্ট। মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রে এই গাছ যেকোনও রাসায়নিক উপাদান থেকে ১০ গুণ বেশি কার্যকর থাকে। এই গাছ পুদিনার মত সুগন্ধী হয়। সাধারণত ৩-৪ ফিট লম্বা হয়। এই গাছের জন্য প্রখর সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয়। ছোট সাদা বেগুনি রঙের ফুল হয়।

গঁদা বা ম্যারিগোল্ড— গাঁদা হল অত্যন্ত মশা নিরোধক গাছ। এই গাছে পাইরেথ্রাম থাকে যা মশাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু মশা নয় নানা পোকামাকড়কেও তাড়াতে সাহায্য করে।

লেমন বাম বা মেলিসা অফিশনালিস— এই গাছ হল বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। সূর্যের কম আলো এবং ছায়াতেও বাঁচতে পারে এই গাছ। মশা, পিঁপড়ে, মাছি তাড়াতে এই উদ্ভিদ বেশ উপকারী হয়। গাছের পাতা ছোট ছোট হয়। পুদিনার গন্ধ যুক্ত এবং লেবুর মত তীব্র ঝাঁঝ থাকে গাছের পাতায়।

তুলসী— তুলসী গাছ অত্যন্ত পরিচিত নাম। এই গাছ ভেষজ উদ্ভিদ। কীটপতঙ্গ ও মশা তাড়াতে কার্যকর তুলসী। এই গাছ ঘরের ভিতরে এবং বাইরে রাখা যায়।

ল্যাভেন্ডার— ল্যাভেন্ডার গাছ ১ থেক দেড় ফুট লম্বা হয়। এই গাছ বেশ সুন্দর সুগন্ধ যুক্ত হয়। গাছের মধ্যে বেগুনি রঙের ছোট ছোট ফুল ফোটে। এই গাছ পতঙ্গ, মশা, মাছি তাড়াতে সাহায্য করে।

পিপারমিন্ট বা পুদিনা— ছোট পত্র বিশিষ্ট এই গাছ মশাকে দূরে রাখে।

আর্টেমিসিয়া— এই গাছের তীক্ষ্ণ গন্ধ থাকে। মশা এই গাছের গন্ধ থেকে দূরে পালায়।

রসুন— রসুনের গন্ধ ভীষণ উগ্র হয়। রসুন গাছ লাগালে মশাকে তাড়াতে কার্যকর হয়।
