img

Follow us on

Sunday, May 05, 2024

Dieting: রোগা থাকার জন্য ভাত-আলু একেবারেই বাদ? কোন বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

রোগা হওয়া মানেই কি সব খাওয়া ছেড়ে দেওয়া? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

img

প্রতীকী ছবি।

  2024-02-28 18:34:12

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

ওজন থাকুক নিয়ন্ত্রণে! কিন্তু অনেকেই আবার নিয়ন্ত্রণ বলতে একেবারেই রোগা থাকতে চাইছেন। জিরো সাইজে পৌঁছনোর জন্য নিজেই ঠিক করছেন কী খাবেন, কখন‌ খাবেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেই রোগা হওয়ার চাহিদায় বাদ দিচ্ছেন খাবার। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সামান্য খাবার খাওয়ার (Dieting) জেরে হচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যাও। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়ম মেনে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ীই হোক ডায়েট। চলতি সপ্তাহ ইটিং ডিস‌অর্ডার উইক। খাওয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নানান কর্মশালার আয়োজন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সচেতন ও সতর্কভাবে খাবারের অভ্যাস না থাকার জেরেই আধুনিক জীবনে নানা রোগের ভোগান্তি বাড়ছে।

কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? (Dieting)

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ওজন কমানোর ইচ্ছের জেরে অনেকেই খুব কম পরিমাণে খাবার খাচ্ছেন। এর ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ছে। সব সময়েই ক্লান্তি ভাব দেখা দিচ্ছে। শরীরে মারাত্মক এনার্জি ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরে ভুক্তভোগীরা কোনও কাজ ঠিক মতো করতে পারছেন না। অধিকাংশ সময়েই ভাত, আলু, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট খাবার মেনু থেকে বাদ পড়ছে। এর জেরে শরীরে এনার্জির জোগান পাওয়া যাচ্ছে না। 
পাশপাশি এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। এনার্জির ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। তাই ভুক্তভোগীরা যে কোনও রোগে সহজেই কাবু হয়ে পড়ছেন। আবহাওয়ার পরিবর্তনে সাধারণ ভাইরাসঘটিত অসুখ কিংবা কোনও সংক্রামক রোগ, যে কোনও সময়েই তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। 
দীর্ঘ সময়ের খাবারের ব্যবধান ও অতিরিক্ত কম পরিমাণ খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অন্ত্রের একাধিক রোগ দেখা দেওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। 
অনেকেই প্রোটিন খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোটিন না খেলে (Dieting) পেশি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু ওজন কমাতে অনেকেই একেবারেই প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
তবে শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, একেবারেই কম খাবার খাওয়ার জেরে এবং অতিরিক্ত ওজন কমানোর তাগিদ এক ধরনের অবসাদ তৈরি করে। মানসিক চাপ তৈরি হয়। এর ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। সামাজিক সম্পর্কেও সমস্যা তৈরি হয়। তাছাড়া, যে কোনও কাজে মনঃসংযোগ করা যায় না। এর ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Dieting)

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন কতখানি ঠিক, এই মাপকাঠি সম্পর্কে সচেতন থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। নিজের উচ্চতা, বয়স সবকিছুর বিচারে ঠিক ওজন নির্ধারিত হয়। প্রত্যেকের জন্য ‘পারফেক্ট’ ওজনের মাপকাঠি আলাদা। তাই ওজন কমানোর প্রয়োজন আছে কিনা, তা নিজে নয়, বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার। তবে পরিমাণ মতো খাওয়া জরুরি। ভাত, রুটি, আলুর মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলা অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। নিয়মিত এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। কারণ কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি জোগান দেয়। শরীরের প্রয়োজন মতো প্রোটিনও জরুরি।‌ কারণ, প্রোটিন পেশিকে শক্তিশালী করে। হাড় মজবুত করে। তাছাড়া নানা রকমের ফল, বাদাম, খেজুর কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার শরীরে খনিজ পদার্থ, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ একাধিক চাহিদা পূরণ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রিজারভেটিভ খাবার এবং অতিরিক্ত তেল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। তবে ডায়েট তৈরি করার জন্য দরকার পুষ্টিবিদদের পরামর্শ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ ডায়েট মেনে চললে (Dieting) উপকারের পরিবর্তে বিপদ বাড়বে।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

weight loss

bangla news

Bengali news

Obesity

Rice

Carbohydrates

energy

body weight

Dieting

lose weight

Proteins

Fats

bmi


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর