Recruitment Scam: গোপালের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সিবিআই...
হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। (ফাইল)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মুখে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম আসার পর থেকে এই রহস্যময়ী নারীর সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে।
বৃহস্পতিবারই, যুব তৃণমূল নেতা দাবি করেছিলেন, হৈমন্তী হলেন গোপাল দলপতির স্ত্রী। তাঁর কাছে নাকি সব টাকা গচ্ছিত রয়েছে। শুক্রবার থেকেই হৈমন্তীর বিভিন্ন বিষয়-আশয় সম্পর্কে খোঁজ মিলতে থাকে। জানা যায়, পেশায় মডেল-অভিনেত্রী হৈমন্তীর বাপের বাড়ি হাওড়ার বাকসারা রোডে।
এছাড়া, তদন্তে খোঁজ মিলেছে হৈমন্তীর একাধিক ফ্ল্যাট ও অফিসের ঠিকানাও। জানা গিয়েছে, বেহালা ও টালিগঞ্জে ফ্ল্যাট রয়েছে হৈমন্তীর। এছাড়া, বিবাদি বাগ অঞ্চলে একটি অফিস রয়েছে। একটি অফিস রয়েছে বেহালাতেও। এছাড়া, মুম্বইতেও সম্ভবত একটি অফিস রয়েছে হৈমন্তীর।
এরই মধ্যে, এদিন বিস্ফোরক দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে চাঞ্চল্যকর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক হাজার কোটি টাকা ‘রহস্যময়ী’র হেফাজতে গচ্ছিত রয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, মডেল–অভিনেত্রী হিসেবে রাজ্যের শাসকদলের প্রভাবশালী অংশের ভাল যোগাযোগ রয়েছে হৈমন্তীর। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে গোপালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে একটা মোটা অংশের টাকা আবার তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টলিউডের সঙ্গে কতটা যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তীর?
এদিকে গোপাল দলপতি বা হৈমন্তী—কারও হদিশ এখনও পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। গতকালও হাওড়ার বাড়িতে দেখা মিলেছিল হৈমন্তীর বাবা-মা-বোনের। অথচ, তারপর থেকে বেপাত্তা হৈমন্তীর পরিবারও। উত্তর বাকসারা রোডের বাড়িতে দেখা যায়নি পরিবারের সদস্যদের। বাড়ির দরজা বন্ধ। একইভাবে বেপাত্তা স্বামী গোপাল দলপতিও।
এদিকে, সূত্রের খবর, গোপালের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সিবিআই। যদিও, একটি সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোপাল দলপতি দাবি করেন, তিনি বেপাত্তা হননি। একটি মামলার কাজে সিবিআইকে বলেই দিল্লি এসেছেন। তিন-চারদিনের মধ্যে ফিরবেন বলেও নিশ্চিত করেন গোপাল দলপতি।