Recruitment Scam: তদন্তকারীদের মতে, শেল কোম্পানির মাধ্যমে এভাবেই কালো টাকা সাদা করা হত...
গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (ফাইল)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই-ইডি নজরে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন। তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে লেনদেনে। পাশাপাশি, অ্যাকাউন্টের নমিনিতে থাকা নাম নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া, গোপাল-হৈমন্তীর একাধিক শেল বা ভুয়ো সংস্থারও হদিশ মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে গোপাল যতই জড়িয়ে যেতে থাকেন, ততই জড়াতে থাকেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। গোপালের কাজকর্ম সম্পর্কে নাকি তিনি ভালই ওয়াকিবহাল ছিলেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, গোপাল-হৈমন্তীদের শেল কোম্পানি গুলির মাধ্যমেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া কালো টাকা সাদা করা হত। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে গোপালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে একটা মোটা অংশের টাকা আবার তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?
আরমানের অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রথমে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly) নামের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে ‘আরমান ট্রেডিং’ নামক একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে। তার পর ওই সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পৌঁছেছে আরমানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। ঘটনাচক্রে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমানের সেই অ্যাকাউন্টের নমিনি আবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়! সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, গোপালেরই আর এক নাম আরমান। দুই নামে তাঁর দু’টি প্যান কার্ডের হদিসও মিলেছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজারের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমান নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন গোপাল দলপতি। আর সেখানে হৈমন্তীকে (Haimanti Ganguly) নমিনি করেছিলেন গোপাল দলপতি ওরফে আরমান। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টের নমিনি ছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি।
আরও পড়ুন: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?
আবার সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৭ থেকে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে আরমান এবং হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly)। নারিমন পয়েন্টে অফিস রয়েছে হৈমন্তী অ্যাগ্রো ফাউন্ডেশনের। জানা গিয়েছে, গোপালের স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৬৮ লক্ষ টাকা গিয়েছিল এক সময়। আরেকবার হৈমন্তীর কাছে গিয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। গোপাল দলপতির নামে আরও ৫টি শেল কোম্পানির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্ত্রী তথা হৈমন্তীকে যতই ‘ইনোসেন্ট’ বলে দাবি করুক না কেন গোপাল দলপতি, তদন্তকারীরা আসল সত্য উদঘাটন করেই ছাড়বেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।