ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক
দণ্ডিকাণ্ডে ধৃতদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। দুজনেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার ধৃত দুজনকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭ এপ্রিল তাদের ফের আদালতে তোলা হবে বলে জানান বালুরঘাট জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সজল ঘোষ।
বিজেপি করার প্রায়শ্চিত হিসেবে তৃণমূলের জেলার প্রাক্তন মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী তিনজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি ছেড়ে আসার পর তাঁদের হাতে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এমনিতেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সংগঠন একজোট হয়ে আন্দোলনে নামে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাতারাতি অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু তপনের ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে, এতদিন এই ঘটনায় দলগতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রশাসনিক স্তরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল। এবার এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপি-র জেলা নেতা বাপি সরকার বলেন, জেলার ওই তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে দণ্ডিকাণ্ড হয়েছিল। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাঁকে আড়াল করতে লোক দেখানো দুজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। আমাদের প্রথম থেকে দাবি অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে।
জেলা তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, দণ্ডিকাণ্ডকে প্রথম থেকে দল সমর্থন করেনি। তাই , ঘটনার পর পরই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।