img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

Gyanvapi Update: জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

দু'পক্ষই তাদের নিজ নিজ যুক্তি সমর্থনে ওই রায়ের বিভিন্ন অংশকে তুলে ধরছেন...

img

জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল ছবি

  2022-06-02 13:22:06

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মামলার (gyanvapi case) পরবর্তী শুনানি হবে ৪ জুলাই। বিচারপ্রার্থীরা তাঁদের দাবির স্বপক্ষে ৮০ বছরের পুরনো একটি মামলার রায়কে হাতিয়ার করছেন। ১৯৪২ সালে ওই রায়ে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বাদী ও বিবাদী— দু'পক্ষই তাদের নিজ নিজ যুক্তি সমর্থনে ওই রায়ের বিভিন্ন অংশকে তুলে ধরছেন।

জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরের বাইরের দেওয়ালে শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতে আবেদন করেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। তাঁদের দাবি, ১৯৩৭ সালে সাক্ষীদের বক্তব্য প্রমাণ করে যে বিতর্কিত প্রাঙ্গণে হিন্দু দেবতার মূর্তি পুজো করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন : "মামলা খারিজ করা হোক", আদালতে আরজি জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির

জ্ঞানবাপী মসজিদটি পরিচালনা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। এই কমিটি মহিলাদের দ্বারা দায়ের করা মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের যুক্তি, আদালত ঘোষণা করেছে যে মসজিদটি যে জমিতে গড়ে উঠেছে, সেটি ওয়াকফ সম্পত্তি। 'রাখি সিং বনাম উত্তরপ্রদেশ' দেওয়ানি মামলায় ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে আদালত বলেছে যে মসজিদের সম্পত্তিটি ওয়াকফ সম্পত্তি নয়।

মামলাকারীদের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে গড়ে তোলা হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) নির্দেশেই ওই মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। যদিও মুসলিমপক্ষের দাবি, ওই জায়গায় মসজিদ ছিল অনেক আগে থেকেই।

আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

বর্তমান দেওয়ানি মামলায় আবেদনকারীরা ন’টি বিবৃতি তালিকাভুক্ত করেছেন। তারই একটি হল, ১৯৩৭ সালে দায়ের হওয়া "দীন মহম্মদ ও অন্যান্য বনাম সেক্রেটারি অফ স্টেট" মামলা। বর্তমান আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, ১৯৩৭ সালে মামলার সাক্ষীরা প্রমাণ করেছেন যে মা শৃঙ্গার গৌরী, ভগবান গণেশ, ভগবান হনুমান এবং দৃশ্যমান ও অদৃশ্য দেবতার ছবি এবং প্রতিদিনের পুজোর অনুষ্ঠান হত একই জায়গায়।

তাঁদের আরও যুক্তি, এই বিবৃতি মুসলিমদের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। কিন্তু, হাইকোর্ট ১৯৪২ সালের রায়ে বলেছিল, যে কিছু সাক্ষী শ্রদ্ধেয় ছিলেন অবশ্যই। কিন্তু, তাঁদের নির্দিষ্ট অভিপ্রায় ছিল। উপরন্তু, তাঁরা কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেননি।

অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে, সাক্ষীদের ব্যক্তিগত বক্তব্যের ওপর এখন নির্ভর করা যায় না। পাশাপাশি, তাদের আরও দাবি ছিল, মসজিদ চত্বরও যে জমিতে রয়েছে সেটিও ওয়াকফ সম্পত্তি। কিন্তু, হাইকোর্ট সেই যুক্তিও খারিজ করে দিয়েছিল।

১৯৪২ সালের ওই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছিল, সিভিল জজ এই মসজিদের ইতিহাস ঘেঁটে দেখেছেন এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। যে মন্দির সপ্তদশ শতাব্দীতে ভেঙে দিয়েছিলেন সম্রাট ঔরঙ্গজেব। তাই মসজিদের উৎপত্তির প্রশ্নে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। 

Tags:

Allahabad high court

Gyanvapi mosque

Varanasi

Gyanvapi masjid


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর