৭০০ কোটি টাকার প্রতারণায় যোগ মিলেছে হিজবুল্লা জঙ্গি গোষ্ঠীরও
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! আর তাতেই ৭০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকরা (Investment Fraud)। জানা গিয়েছে, চিন থেকে বসেই নিয়ন্ত্রণ করা হতো গোটা চক্র। এত বড় প্রতারণা চক্রে সংযোগ পাওয়া গিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লা জঙ্গি গোষ্ঠীরও। ভারত থেকে গোয়েন্দারা গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছেন প্রতারণাচক্রের (Investment Fraud) বেশ কিছু দালালকে। শনিবার হায়দরাবাদ পুলিশ এই প্রতরণা চক্রের কথা সামনে এনেছে।
বাড়িতে বসেই সামান্য কাজের অফার দেওয়া হতো। কীরকর কাজ? ইউটিউবে ভিডিও লাইক করতে হবে অথবা গুগলে গিয়ে রিভিউ লিখতে হবে। ব্যস এইটুকু করলেই মিলবে মোটা অঙ্কের টাকা। এই ছিল প্রতারকদের ফাঁদ। এখানেই প্রতিবছর আটকে পড়েছেন হাজার হাজার ভারতীয়। সামান্য এই কাজের সঙ্গে দেওয়া হতো বিনিয়োগের প্রস্তাব। স্বল্প টাকার বিনিয়োগে মিলবে মোটা অঙ্কের রিটার্ন। প্রতারকদের (Investment Fraud) এই প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করেই টাকা রাখতেন অনেকে। যা চলে যেত সন্ত্রাসের ফান্ডে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা। মহম্মদ মুনাওয়াল, অরুল দাস, সমীর খান, শাহ সুমীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে হায়দরাবাদ থেকে। আহমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রকাশ মূলচাঁদ ভাই এবং কুমার প্রজাপতিকে। মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গগন সোনী, পারভেজ এবং নইমুদ্দিন সেখকে।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার বলেন,জনৈক শিবা কুমার নামের এক ব্যক্তির ২৮ লাখ টাকার প্রতারণা (Investment Fraud) বিষয় সামনে আসতেই তদন্ত শুরু হয়। সন্ধান মেলে ‘রাধিকা মার্কেটিং কোম্পানি’-এর। এখানেই মহম্মদ মুনাওয়ালের একটি অ্যাকাউন্ট ও ফোন নম্বর পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, এই কোম্পানিতে অ্যাকাউন্ট খোলানোর বিনিময়ে প্রতারকরা পেত নগদ ২ লাখ টাকা। কিছু অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রিত হতো দুবাই থেকে। এই সংস্থায় যে টাকা ডিপোজিট হতো তার একটা বড় অংশ সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার হতো বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আরও পড়ুুন: দিল্লির প্রগতি ময়দানের নয়া কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।