img

Follow us on

Sunday, Jun 02, 2024

Covid 19: কেন্দ্রের পাঠানো করোনার বুস্টার ডোজ স্টোরে থেকে নষ্ট হয়েছে, বাড়তি উদ্বেগ রাজ্যে! 

কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির মতো জেলাগুলির সংক্রমণের হার চিন্তা বাড়াচ্ছে

img

প্রতীকী ছবি

  2023-04-25 12:21:35

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্টোররুমে থেকে নষ্ট হয়েছে করোনা (Covid 19) টিকার ৫০ হাজার ডোজ। কিন্তু এখন করোনার সংক্রমণ বাড়তেই টিকাকরণে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আর সময়মতো বুস্টার ডোজ না মেলায় বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে করোনার নতুন প্রজাতি। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকার ভান্ডার প্রায় শূন্য। তাই বিশেষজ্ঞ মহল করোনার নতুন প্রজাতির মোকাবিলা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। 

করোনার নতুন প্রজাতির প্রকোপ কীভাবপ বাড়ছে রাজ্যে?

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতির প্রকোপ বাড়ছে। করোনার পজিটিভিটি রেট ১৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বিশেষত কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির মতো জেলাগুলির সংক্রমণের হার চিন্তা বাড়াচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলার মূল হাতিয়ার যে করোনা টিকা, তা আপাতত পর্যাপ্ত নেই রাজ্যের কাছে। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছে, সময়মতো বুস্টার ডোজ দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য কোনওরকম উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নেওয়া হয়নি। যার ফলে দীর্ঘদিন রাজ্যের বিভিন্ন সেন্টারে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন পড়ে ছিল। 

কীভাবে নষ্ট হল করোনার টিকা?

স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের ভান্ডারে কয়েক লাখ করোনা (Covid 19) টিকা ছিল। কিন্তু সেগুলি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে ৩১ মার্চের মধ্যে সেই টিকা নষ্ট হয়ে যেত। একদিকে যেমন এত টিকা নষ্ট হলে বিশাল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হত, তেমনি বহু মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতেন। তাই দিল্লির তরফে জানানো হয়, টিকা অন্য রাজ্যে পাঠানো হোক। রাজ্য ব্যবহার করতে না পারায়, কয়েক মাস আগে ১০ লাখ কোভিশিল্ড পাটনায় পাঠানো হয়েছে। আর আড়াই লাখ কোভিশিল্ড গিয়েছে হায়দরাবাদ। কিন্তু তারপরেও ৫০ হাজার টিকার ডোজ রাজ্যের স্টোররুমে পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। 

টিকা দেওয়ার তৎপরতাই নেই

করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়ার পরেও রাজ্যের তরফে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ তৎপরতা নজরে আসেনি বলেই অভিযোগ করছে একাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকেই রাজ্যে করোনা টিকাকরণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গোটা রাজ্যে দৈনিক করোনা বুস্টার নেওয়ার সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২০০-২৫০ জন। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আপাতত করোনা টিকার ভান্ডার প্রায় খালি। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও যে সংখ্যক ডোজ রয়েছে, তা চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চললে এবং প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার জন্য আবেদন করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা সহজ হতে পারত। 

কী জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা?

যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। টিকা পাঠানোর আবেদনও করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য মনে করছে, রাজ্যের টিকাকরণের বিষয়ে আরও বেশি তৎপরতা জরুরি ছিল। করোনার মতো মহামারি রুখতে টিকা নেওয়ার জন্য লাগাতার প্রচার জরুরি। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, এ তো স্পষ্ট। তাই করোনার (Covid 19) টিকা ও বুস্টার ডোজ নেওয়া কতখানি জরুরি, সে বিষয়ে মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব সরকারের। ঠিক সময়ে বুস্টার ডোজ নিলে মোকাবিলা আরও সহজ হত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Covid 19

booster dose

bangla news

Bengali news

Covid new varient


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর