উন্নয়ন বরাদ্দে ৮০% ছাঁটাইয়ের সরকারি নির্দেশিকা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা
নবান্নের ভাঁড়ে মা ভবানী!
সংসার চালানোর টাকা নেই। মেলা খেলা খয়রাতি আর উৎসবে ভাঁড়ার শূন্য। তার ওপর একেক জন মন্ত্রী-সান্ত্রীদের গাড়ি তেল মায় বাথরুম বানাতে দেড় দু কোটি উধাও। বাধ্য হয়েই সব খরচেই লাগাম পরানোর সিদ্ধান্ত। রাজ্যের অর্থ দফতরের। সম্প্রতি, এক নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য অর্থ দফতর। মেমো নম্বরঃ 280-F.B. তারিখঃ ৫জুলাই, ২০২২, যাতে বলা হয়েছেঃ
বেতন, ইলেক্ট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, হাসপাতাল পরিষেবা ক্ষেত্রেই, শুধুমাত্র বাজেট বরাদ্দের ১০০% ব্যবহার করা চলবে।
অর্থাৎ বাকি সব বরাদ্দেই কোপ পড়ছে। কি পরিমাণ কোপ? চুম্বকে বলা চলে, নবান্নের নির্দেশ।
রাজ্যের উন্নয়ন বরাদ্দে ছাঁটাই ৮০ শতাংশ ! আর, রোজকার বাজেটে কোপ ৫০%..
তাহলে সংসার চলবে কি করে?
অর্থ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২০ শতাংশের বেশি টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। ফলে, প্রতিটি দফতরকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, বাজেট বরাদ্দে যে পরিমাণ টাকা উন্নয়ন খাতে ধরা হয়েছে, তার মাত্র বিশ শতাংশই খরচ করতে হবে। বেশি খরচ হলে তার দায় অর্থ দফতর নেবে না। ছাড় থাকবে কেবলমাত্র বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ক্ষেত্রে। অথচ এবারের বাজেটে বড় মুখ করে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন স্টেট ডেভেলপমেন্ট স্কিমে বাজেট বরাদ্দ ১লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকা। তাহলে কতটাকা খরচ করতে পারবে সরকার?
রাজ্য বাজেটে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ ১ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি, খরচ করা যাবে ২৫ হাজার ২০০ কোটি মাত্র। ফলে, ছাঁটাই ৮০%
একই রকম ভাবে কোপ পড়েছে, সরকার চালানোর প্রশাসনিক খরচেও। সরকারি কর্মচারিদের বেতন আর রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের বাইরে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে। সরকারি গাড়ি, ইলেক্ট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের নামে রিয়ালিটি শো'। অর্থ দফতরের নির্দেশ, এই প্রশাসনিক খরচ বাজেট বরাদ্দের সর্বোচ্চ ৫০% শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে। এক দফতরের সচিবের আক্ষেপ অর্ধেক টাকায় সংসার চালানো যায় নাকি? এর থেকে আর কি খারাপ হবে অর্থনীতি?
অর্থ দফতরের নির্দেশঃ
প্রকল্প খরচ দেড় কোটির বেশি হলেই নবান্নের অনুমোদন লাগবে।
সরকারি আধিকারিকের আক্ষেপ কখনও কখনও মন্ত্রীমশাইদের বাথরুম সারাই করতেই দেড়কোটি বেরিয়ে যায়। সেই ফাইলও কি নবান্নে পাঠিয়ে অনুমোদন করাতে হবে?
গত চার মাসে ২২টা দফতরের আরআইডিএফ (রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ফাণ্ডের মাত্র ৫৩৪ কোটি টাকা অনুমোদন করতে পেরেছে নবান্ন। কেন্দ্রের টাকা এলে তবেই ফের বাজবে উন্নয়নের ঢাক। রাজ্যের কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীও পাইয়ে দেওয়া রাজনীতির সর্বনাশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
কানে নেয়নি নবান্ন।
রাজ্য সরকারের শ্রী প্রকল্পের খয়রাতির ধাক্কায় এবার রাজ্যই না বিশ্রী রকমের দেউলিয়া হয়ে যায়! আশঙ্কায় অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।
Tags:
West Bengal news
West Bengal
Nabanna
Mamata Government
Bengal financial condition
West Bengal financial condition
sri lanka financial crisis
west bengal economy
bengal financial
west bengal economy analysis
bengal economy
west bengal per capita income
west bengal budget
west bengal development
financial crisis