সন্দেশখালিকাণ্ড ও পুরুলিয়ায় সাধু নিগ্রহের ঘটনায় কী বললেন রাজ্যপাল?
রাজ্যপালের সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় ৮ দিন পার। অথচ মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনও গ্রেফতার হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারই তাকে বহাল তবিয়তে রেখেছে। এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস (Cv Bose) বলেন, ‘‘কে কালপ্রিট সকলেই জানে। যদি না ধরা যায়, কেন ধরা যাচ্ছে না, সর্বসমক্ষে বলা হোক। সত্যি বলা হোক। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” এর আগে শাহজাহান ইস্যুতে রাজ্যপাল জরুরিভাবে তলব করেছিলেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে।
রাজ্যপাল (Cv Bose) আরও বলেন ‘‘এখন রাজ্য সরকারের অ্যাকশন নেওয়া উচিত। কোনও অজুহাত দেখানো উচিত নয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং খারাপ জিনিসকে বন্ধ করতে না চাওয়া কখনওই সহ্য করা হবে না। সংবিধান রয়েছে, আদালত রয়েছে এবং রাজ্যপাল রয়েছেন। আইন অনুযায়ী যা করার করা হবে।’’
গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে ৩ সন্ন্যাসী গণপিটুনির শিকার। এনিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গতকালই পুরুলিয়ার ঘটনাকে পালঘরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার এনিয়েও মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি বোস (Cv Bose)। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘পুরুলিয়ায় যা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত অসম্মানজনক। শোচনীয় ঘটনা। সাধুদের উপর আক্রমণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ বলেই ধরা হবে। আমি সাধুদের উপরে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করি। রাজ্যপালের কাজ শুধু রিপোর্ট চাওয়া নয়, অ্যাকশনও (ব্যবস্থা) নেওয়া। রিপোর্টের টাইম শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অ্যাকশনের সময়। নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অ্যাকশন নিতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ওই সাধুরা পুরুলিয়ার কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি গ্রামে পৌঁছে তিন নাবালিকাকে রাস্তা জিজ্ঞাসা করেন। এতেই তাঁদের অপহরণকারী সন্দেহে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পরে স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।