img

Follow us on

Wednesday, May 01, 2024

Bhupatinagar Case: রক্ষাকবচ এনআইএ আধিকারিকদের, ভূপতিনগরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

NIA:‘আঘাতের চিহ্ন নেই, তাও ৩২৫ ধারা’! শ্লীলতাহানির মামলায় এনআইএ অফিসারকে গ্রেফতার নয়, নির্দেশ আদালতের

img

ভূপতিনগরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন।

  2024-04-10 17:22:35

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগর কাণ্ডে (Bhupatinagar Case) এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এনআইএ আধিকারিকদের রক্ষাকবচ দিল আদালত। কোনও এনআইএ অফিসারকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কোনও এনআইএ অফিসারকে এই মামলায় যদি জেরা করতে হয়, তাহলে তা করতে হবে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। থানায় তলব করা যাবে না। ভিডিয়ো জেরার জন্যেও ৭২ ঘণ্টা আগে পুলিশকে নোটিশ পাঠাতে হবে।

আদালতের প্রশ্ন

গত ৬ এপ্রিল সন্দেশখালির পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছিল ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Case)। যেখানে তল্লাশিতে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে অফিসারদের বিরুদ্ধেই কেন অভিযোগ? তাও আবার গুরুতর ধারায়? হাইকোর্টে এমন প্রশ্নের মুখেই পড়তে হল পুলিশকে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় থানার পুলিশকে জানিয়ে গত শনিবার এনআইএ  আধিকারিকরা বৈধ তল্লাশিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোরবেলায় পুলিশ ফোর্স জোগাড় করতে পারেনি। সেটা পুলিশের ব্যর্থতা। এনআইএ-র তরফের আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী ওই এলাকায় কাজ করতে যায় এনআইএ। এই সময় এনআইএ-র তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছে তৃণমূলের একটি পরিবার। ওই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআরও রুজু করেছে। পুলিশ এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ৩২৫ ধারা যুক্ত করেছে।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

৩২৫ ধারা কেন

কেন এনআইএ অফিসারদের বিরুদ্ধে ৩২৫ ধারা যুক্ত করা হল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত পুলিশকে বলেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর আহত করার ধারা কেন যুক্ত করলেন? কেস ডায়েরিতে আঁচড় বা গুরুতর আঘাতের কোনও উল্লেখ নেই। তাও কীভাবে ৩২৫ ধারা? কে তদন্ত করছিলেন? প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন?” মেডিক্যাল রিপোর্ট না দেখে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত না  করেই পুলিশ এই ধারা  যোগ করেছে। তাই পুলিশের এই এফআইআর বিধি সম্মত নয়। মামলার পরবর্তী শুনানি  ২৯ এপ্রিল। ওই দিন পুলিশকে কেস ডায়েরি সহ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Calcutta High court

Madhyom

NIA

bangla news

police

bhupatinagar


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর