img

Follow us on

Saturday, May 04, 2024

ssc scam: কুন্তল, গোপাল, হৈমন্তীদের স্রষ্টা কে?

কুন্তল, গোপাল, হৈমন্তীদের স্রষ্টা কে?

  2023-02-27 19:40:46

কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, হৈমন্তী গাঙ্গুলি। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় একের পর এক উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। তাঁদের গ্রামের বাড়ি, বাড়ির মানুষজনকে দেখে বোঝা যায় না, এই বাড়ির ছেলে মেয়েই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। পাড়ার লোকেরাও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না এত কিছু। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে উঠে আসছে নানা তথ্য। আর এখানেই উঠে আসছে আর একটি প্রশ্ন। কুন্তল বা গোপালদের তৈরি করেছে কারা? এর নেপথ্যের কারিগর কে ?  উনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের বাংলার কথা ভুলে যান, কয়েক দশক আগেও বাংলার যুবকরা স্বপ্ন দেখত। বিপ্লবে গা ভাসাতো। সারা দেশ তথা সারা বিশ্ব তাকে যে চোখেই দেখুক, সেই বিপ্লবকে তারা তাচ্ছিল্য করতে পারত না। বাড়ির মা, মেয়েরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটালেও কোথাও একটা গর্ব অনুভব করত। কিন্তু বাংলার সেই গৌরব হারিয়েছে অনেকদিনই। এখন তার কঙ্কালসার চেহারায় শুধুই গ্লানি। এটা দারিদ্রের গ্লানি নয়, চরিত্র স্খলনের গ্লানিমা। একটা দেশ, একটা জাতি বেঁচে থাকে তার সততায়। তার চারিত্রিক দৃঢ়তায়। কিন্তু হায়! বাংলা দিনে দিনে হারাচ্ছে সব কিছু। when character lost, everything is lost. একটা জাতি ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে সেই পঙ্কিলতায়। তাই উঠে আসছে কুন্তলদের নাম। হৈমন্তীদের ছবি। তাদের দুর্নীতির কাহিনী। কয়েকমাস আগেই তারা জানত একে অপরের কীর্তিকলাপ। কিন্তু টাকার হাতছানি ভুলিয়ে দিয়েছিল অপরাধবোধ। আজ যখন ইডি আর সিবিআইয়ের তদন্তে সবকিছু উঠে আসছে, তখন ফুটে উঠছে এক চোরাপথের কাহিনি। সেখানে ট্রাপিজের খেলার মতো কখনও ঝুলছে কুন্তল, কখনও গোপাল দলপতি, কখনও হৈমন্তীর মতো মেয়েরা। সমাজের চোখে এরা সকলেই অপরাধী। আইনের চোখে বিচার চলছে। তবে এই ট্রাপিজের খেলায় কার হাতে আসল ছড়ি, সেটা জানা বড্ড প্রয়োজন। বিরোধীরা বলছেন, এই কেলেঙ্কারিতে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে এজেন্ট। সকলেই যুক্ত তৃণমূলের সঙ্গে।

প্রশ্নটা এখানেই। একটা দুর্নীতি একদিনে তো মাথাচাড়া দেয়নি। খবরে সামনে আসছে, বিকাশ ভবনে অবারিত দ্বার ছিল কুন্তলের। চাকরিপ্রার্থীদের সেখানে ডাক পরতো ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের জন্য। সেখানই চূড়ান্ত হতো ডিল। খোদ কলকাতার বুকে একটা সরকারি ভবনে দিনের পর দিন এই কেলেঙ্কারি ঘটে যাচ্ছে, তা কি সরকারের মাথারা জানতো না। আর সেই খবর যদি ওপরমহলের কানে না যায়, বুঝতে হবে, পুরো সিস্টেমটাই পচে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দায় স্বীকার করে আমজনতার কাছে ভুল মেনে  নিতো যে কোনও সভ্য শাসক। কিন্তু বঙ্গবাসীর দুর্ভাগ্য এখানেই। সবাই লুকিয়ে রাখতে চায় পচা, গলা এক সমাজব্যবস্থাকে। কেউ স্বীকার করে না, ভুলটা তার। শুধু দোষারোপের পালা চলে। বছরের পর বছর যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পায় না। বিক্রি হয় শিক্ষা। শাসকের ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে মাথাচারা দেয় কুন্তল,গোপাল, হৈমন্তীদের মতো কিছু মধ্যস্বত্বভোগী। নিজেদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তারা ক্রমশ ঢুকে পড়ে দুর্নীতির বৃত্তে।  আটকে পড়ে অর্থ লালসার মাকড়শার জালে। সেই জাল ক্রমশ বড় হয়। আর তার কেন্দ্রবিন্দুটি দিনের পর দিন স্ফীত হতে থাকে। সেই জালে আটকে পড়ে একটা গোটা সমাজ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম। পরিস্থিতি দুঃসহ হয়ে উঠলে সবাই নিস্তার পেতে চায়। কিন্তু বুঝতে পারে না, কীভাবে ছিঁড়ে বেরোবে সেই জাল। তাই শুরু হয় প্রহর গোনা। যে প্রহর গুনছে গোটা বাংলা, একটা মুষড়ে পড়া জাতি। 
 

 

Tags:

SSC recruitment scam

SSC

ssc scam

ssc scam news

bengal ssc scam

bengal ssc scam news

Recruitment scam

west bengal ssc scam

ssc scam west bengal

west bengal ssc scam news

bengal ssc case

teacher recruitment scam in west bengal

west bengal ssc teacher recruitment scam

recruitment scam in west bengal

wb ssc scam probe

ssc scam in bengal

west bengal ssc recruitment scam

west bengal scam news

kuntal ghosh

Gopal Dalapati

haimanti ganguly

gopal dalapati news


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর