পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার বিচার এড়াতে বিচারপতি বয়কট?
বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা! স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুল জারি করলেন বিচারপতি মান্থা। সোমবার থেকেই হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আইনজীবীদের একাংশ। যা মঙ্গলবারও সমানে চলেছে। এমনকি, বিচারপতির এজলাস বয়কটেরও ডাক দিয়েছিলেন এই আইনজীবীরা।
অভিযুক্ত আইনজীবীদের চিহ্নিত করতে ছবি সহ হলফনামা পেশ। হলফনামা গ্রহণ প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের৷ আদালত অবমাননার রুল জারির পদক্ষেপ চেয়ে হলফনামা পেশ। 'গতকাল বিচারপতি কাজে বাধা কাঙ্ক্ষিত ছিলোনা। এখন যে আইনজীবীরা আদালতে এসে বলছেন সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা, গতকাল ঘটনার সময় সেই আইনজীবীরা এজলাস সচল করতে কোনও অনুরোধ করলেন না কেনো। আন্দোলনকারীদের আন্দোলন তুলতে অনুরোধ করলেন না কেনো তখন। প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। আদালত সব কিছু নজর রাখছে।' - মন্তব্য প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বেঞ্চে কাজে বাধাই নয়। সামাজিকভাবে বিচারপতির মানহানি করা হচ্ছে। বিচারপতির বাড়ির বাইরে রঙিন পোস্টার সাঁটানো হয়েছে, কুৎসা রটানো হচ্ছে। বিচারপতি মান্থা কাল অন্য কোনও বিচারপতি বিরুদ্ধে একই কাজ হবে হয়ত। কড়া পদক্ষেপ না নিলে এই ধরনের কাজকে উৎসাহ জোগানো হবে।' - সওয়াল আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের।
আবেদন খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। জানিয়ে দিলের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
সোমবার পোস্টার পড়েছিল বিচারপতির বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়িতে আর কাজের জায়গা কলকাতা হাইকোর্টে। ২৪ ঘণ্টা পর, মঙ্গলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের ডাক একাংশের আইনজীবীদের। তাঁদের দাবি বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত। এদিকে বার অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, জানিয়েছেন বার-অ্যাসোশিয়শনের সভায় এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে বিচারপতি মান্থা ইস্যুতে বার অ্যাসোশিয়েশন কার্যত দুভাগ।
অরুনাভ ঘোষ জানিয়েছেন,তিনি এই প্রস্তাবের বিন্দুবিসর্গ জানেন না এবং আদালতের কাজে বাধা দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন না।
বাম, কংগ্রেস ও বিজেপিপন্থী আইনজীবীরা মানতে নারাজ। তারা বিচার প্রক্রিয়া চালানোর দাবি জানান। তাঁদের দাবি, বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট করা হয়, তবে বহু মামলার বিচার থমকে যাবে। মান্থার এজলাসেই পুলিশি নিস্ক্রিয়তার বহু মামলার শুনানি চলছে, মিথ্যা মাদক মামলার শুনানি চলছে, চলছে ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশেরপুলিশি নিস্ক্রিয়তার মামলাও। সেই সব মামলাই কি আশঙ্কিত করছে তৃণমূল পন্থী আনঞ্জীবীদের?
এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন এই আইনজীবীরা।
শুধু এজলাস বয়কট করা নয়, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ১৩নং এজলাসের ডিসপ্লে বোর্ড। নজরে এলে বিচারপতি মান্থা রেজিস্টারের কাছে জানতে চান ডিসপ্লে বোর্ড বন্ধ কেন। বেশ কিছুক্ষণ পর কাজ করতে শুরু করে ডিসপ্লে বোর্ড ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘ কারও বিচার পছনদ না হলে আপনারা চাইলে মামলা করতে পারেন। এ বিষয়ে বারের এক সদস্য আমাকে চিঠি দিয়েছেন।’’ তবে একই সঙ্গে তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘‘এ নিয়ে বারের কি কোনও দায়িত্ব নেই?’’ বার অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, ‘‘দেশের প্রাচীনতম এই হাই কোর্টের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। বারের উচিত ছিল এ ব্যাপারে দায়িত্ব নেওয়া।’’
Tags:
Calcutta High court
Madhyom
High Court
bangla news
Bengali news
Justice
Kolkata High Court
police
high court kolkata
high court news
calcutta high court news
justice rajashekhar mantha
calcutta high court news update
calcutta high court latest news
judge of calcutta high court
high court of calcutta
kolkata highcourt boycott
court boycott
rajashekhar mantha
rajashekhar manth justice
boycott to avoid prosecution
boycott to avoid
avoid prosecution
prosecution
police inaction