img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু'বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

আতঙ্কে ঘর ছেড়ে দুমাস বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনও সুরক্ষা পাননি

img

বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছিল। নিজস্ব চিত্র

  2023-05-12 18:28:18

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছিলেন আসানসোল-বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক হিংসার জেরে আক্রান্ত হন তিনি। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী তাঁর ঘরে ঢুকে ভাঙচুর (Post poll violence) করে। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে দুমাস বাইরে ছিলেন বাপি প্রধান। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনও সুরক্ষা পাননি। তাই পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু এখনও তৃণমূল সমর্থকরা বাপির গতিবিধি নজরে রেখে চলেছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলেই বাড়িতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

ফলাফলের পর কী ঘটেছিল?

আক্রান্তরা জানিয়েছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর ২ রা মে থেকে এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ শুরু করে। ফল প্রকাশের আগের দিন থেকেই শাসকদলের দৌরাত্ম্যের কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয় পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি পরিবার। স্থানীয় কৃষ্ণ সাউ, মনোজ ধীবর, বাপি প্রধান, প্রকাশ গড়াইয়ের পরিবারের প্রায় চল্লিশজন নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র পালিয়েছিলেন। এছাড়াও সুজয় গড়াই, চিত্তরঞ্জনের ডিপি সং, পাপ্পু বাল্মীকি, এল ফ্রেড রজক, পরেশ ধীবরের বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা করে। প্রায় দু-মাস ধরে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের আতঙ্কে (Post Poll Violence) বাড়ির বাইরে গিয়ে দিন কাটাতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।

অত্যাচারের চেহারা

বাপি প্রধান বলেন, দুষ্কৃতীরা প্রথমে বাড়ির লোহার গেট ভেঙে ঢুকে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তারপর বাড়ির আসবাবপত্র, ফসল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছু লুটপাট করে পালিয়ে যায়। কৃষ্ণ সাউ নামে এক ব্যক্তির গাড়ির চাকাগুলি সেই সময় খুলে নিয়ে চলে যায়। তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে থাকা প্রকাশ গড়াইয়ের মাকে প্রচণ্ড মারধর করে। দুষ্কৃতীরা বাপিকে বলে, একাই এসেছি তোকে মারার জন্য! তোর মাকে সরতে বল। ফেসবুকে শাসকের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা বলায় মায়ের সামনেই মা-ছেলেকে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল বলে জানা যায়। এই চল্লিশজন ঘরছাড়াদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু শিশু, বৃদ্ধ নারী, যারা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার (Post Poll Violence) হন। অনেকে বলেছেন, নিরুপায় হয়ে বর্ডার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে গিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়। পুলিশ-প্রশাসন সাধারণ মানুষকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ছিল।

অভিযুক্ত কারা?

আক্রান্তদের অভিযোগ, এই হামলা, মারধরে প্রত্যক্ষ মদত দেয় শাসকদলের আশ্রিত তৃণমূলের দুষ্কৃতী রাজেশ মৃধা, অজিত বাউরি, পুনস খান। এছাড়াও বাড়িঘরে লুটপাটের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মহঃ আলম, তাঁর ভাই হাসিম আনসারি। বাড়ি ফিরলেই মারধর করবে বলে বিশেষ হুমকি (Post poll violence) দেয় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। তাই সকলে রাজনৈতিক হিংসার কারণে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন সেই সময়।

বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে পরবর্তী সময় প্রতিকার চেয়ে বাড়িতে ফেরার জন্য হাইকোর্টে বিশেষ আবেদন করতে হয়েছিল আক্রান্তদের। ডিভিশন বেঞ্চের আদেশে প্রশাসন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিজের বাড়িতে ফেরাতে বাধ্য হয়েছিল। বেশ কিছুদিন এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছিল নিরাপত্তার কথা ভেবে। আসানসোল জেলার বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, পুলিশ পিকেটিং থাকা সত্ত্বেও বাপি প্রধানের বাড়িতে শাসকদল আক্রমণ (Post Poll Violence) করছিল। তিনি আরও বলেন, ভোটের পরে পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল, সে কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দুবছর কেটে গেলেও ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার অত্যাচার থামেনি বলে এলাকার মানুষ মন্তব্য করছেন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

tmc

bangla news

Bengali news

Postpoll Violence

torture


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর