মোদিকে দেখতে রাস্তার দুধারে উপচে পড়ল ভিড়, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় (বাঁদিকে), নরেন্দ্র মোদি (ডানদিকে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ও সরকারি অনুষ্ঠানের সময়ের তাড়া ভুলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালি মাঠে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সময় ধরেই বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তিনি সড়ক পথে রওনা হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাশে কাওয়াখালি মাঠের উদ্দেশ্যে। কিন্তু, বাগডোগড়া বিমানবন্দর থেকে বের হতেই প্রধানমন্ত্রী দেখেন রাস্তার দু'ধারে অগণিত মানুষ তাঁকে দেখার জন্য অধিক প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাই জেট গতিতে কনভয় না ছুটিয়ে ধীর গতিতে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। গাড়ি থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে হাত নেড়ে সৌজন্য বিনিময় করেন মোদি।
বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কাওয়াখালি মাঠ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার কনভয়ে ধীর গতিতে মোদি সভাস্থলে যান। ফলে, নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট পরে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন সভাস্থলে। সেখানেও প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) দেখার জন্য লাখো মানুষের ভিড় ছিল। তাই, বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, রাস্তার ধারে মানুষ ভালোবাসার টানে অপেক্ষা করেছিলেন। মানুষের ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। রাস্তা দিয়ে ধীর গতিতে আসতে গিয়ে এখানে পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তারজন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।
প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখা ও তাঁর বার্তা শোনার জন্য এদিন সকাল থেকে নানা ভাষা ও বর্ণের মানুষ উত্তরবঙ্গের প্রতিটি প্রান্ত থেকেই মিলিত হয়েছিলেন এই কাওয়াখালির মাঠে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক পাহাড়ের প্রতিটি প্রান্ত থেকে সকাল হতেই গাড়ির মিছিল এসে মিলেছে কাওয়াখালি মাঠে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মাথাভাঙ্গা, ময়নাগুড়ি, দিনহাটা, ডুয়ার্সের চালসা মেটেলি থেকেও এসেছেন দলে দলে মানুষ। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের এই সমাবেশে কাওয়াখালির মাঠ কার্যত এদিন মিনি ভারতবর্ষের চেহারা নেয়। সমাবেশের ভিড় দেখে মিনি ভারতবর্ষের কথা বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, এখানে মিনি ভারতের দর্শন হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদি
সকাল থেকেই দলে দলে মানুষ এসেছেন। মাঠে ঢোকার আগে সকলের মধ্যে ছিল বিজেপির পতাকা, নরেন্দ্র মোদির মুখোশ টুপি কেনার হিড়িক। সময় যত গড়িয়েছে জনসভায় ভিড় তত বেড়েছে। দল বেঁধে মতুয়ারা এসেছেন ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসবের মেজাজে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। এদিন উত্তরবঙ্গের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ যে তৃণমূলকে উৎখাত করা শপথ নিতে এসেছিলেন তা তাদের প্রতিক্রিয়াতেই ধরা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসন নিয়ে সমালোচনায় সরব হলেই সকলে জোটবদ্ধ হয়ে তৃণমূল বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন। দেশের উন্নয়নের বার্তা এবং রাজ্যে তৃণমূলের অপশাসনের অবসানের শপথ নিতে প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে সকলে নিজের নিজের মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বালান। শনিবার গোধূলি বেলায় কাওয়াখালির মাঠে অকাল দেওয়ালি নেমে আসে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।