img

Follow us on

Friday, May 03, 2024

Dacoits: কর্পোরেটের কায়দায় গ্যাং চালাত পুরুলিয়ার ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড, কীভাবে জানেন?

বিহারের জেলে বসেই পুরুলিয়ায় ডাকাতির ছক! গ্যাংয়ে কতজন রয়েছে জানেন?

img

ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড (সংগৃহীত ছবি)

  2023-10-26 15:08:17

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ডের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড রবি গুপ্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের হাতে যে সব তথ্য সামনে এসেছে তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। চলতি মাসের ১৯ তারিখ ধৃত মাস্টারমাইন্ড রবি গুপ্তাকে এই মামলায় গ্রেফতার করে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলেও বুধবার তা সামনে আনে পুলিশ। তার ১৪ দিন পুলিশ হেফাজত হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়ার নামোপাড়ায় ওই সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় এই মাস্টারমাইন্ড সমেত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কর্পোরেটের কায়দায় গ্যাং চালাত  ডাকাতি (Dacoits) কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড

ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিহারের বেযুর জেলে বসে এই অপরাধ সংগঠিত করত। ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত চালানোর পর মাস্টারমাইন্ডকে ধরতে পারল পুলিশ। কাজাখস্তান ও আমেরিকায় ব্যবহৃত নম্বরের কোড হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করে কথাবার্তা বলত ধৃত। একইভাবে তার সহযোগীরাও বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের মতো বিভিন্ন দেশের নম্বর ব্যবহার করে এই অপরাধ সংগঠিত করত। এই বেয়ুর জেল দেশজুড়ে বড়সড় সোনার দোকানের ডাকাতির কার্যত আঁতুড়ঘর। পরিকল্পনা থেকে অপারেশনের নির্দেশ এই জেল থেকেই যেত। এই গ্যাং লুটের জিনিসপত্র অন্য দেশের মার্কেটে বিক্রি করত। কাজের জন্য টাকাপয়সা কীভাবে দেওয়া হবে তার নকশা জেলে বসেই সাজিয়ে আসছিল রবি। যারা অপারেশন করবে তাদের মোবাইলে লোকেশনের লিঙ্ক পর্যন্ত দিয়ে দিত। ধৃতের অধীনে প্রায় ৭০০-র মতো দুষ্কৃতী কাজ করত। তারা কোনও কারণে ধরা পড়ে গেলে তাদের জামিন-সহ আদালতের সমস্ত খরচ বহন করত রবির 'কর্পোরেট গ্যাং'। এই ধরনের অপারেশন চালাতে গিয়ে কোনও কারণে কারও মৃত্যু হয়ে গেলে তার পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে বলে ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে। যাতে অপরাধের বিষয়ে কোনও ভাবেই কেউ মুখ না খোলে। ধৃতের অধীনে প্রায় ৭০০-র মতো দুষ্কৃতী কাজ করলেও তারা একে অপরকে সেভাবে চেনে না। এতটাই গোপনীয়ভাবে কাজ হয়, যাতে কেউ গ্রেফতার হলেও অপরাধের লম্বা শৃঙ্খল কোনওভাবেই পুলিশের সামনে না আসে।

জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিহার পুলিশ, সেখানকার আদালত সকলের সঙ্গে কথা বলে গয়নার দোকানে লুটের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে আমরা নিজেদের হেফাজতে নিতে পেরেছি। ধৃত মাস্টারমাইন্ড জেলে বসেই এই অপরাধ সংগঠিত করে। এই কাজ করার জন্য কাজাখস্তান ও আমেরিকার দুটি নম্বরের সাহায্যে তার হোয়াটসঅ্যাপ সক্রিয় করে। যা ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Purulia

dacoits


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর