img

Follow us on

Sunday, May 05, 2024

Professor Bikini Controversy: ইনস্টাগ্রামে পুরনো বিকিনি-পোস্টের জেরে চাকরি গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যাপিকার

ভাইরাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছাত্রের বাবার লেখা সেই চিঠি।

img

সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়

  2022-08-10 17:40:17

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বিকিনি (Bikini) পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করা। আর এই কারণেই চাকরি গেল এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার। যে সে বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার এক অত্যন্ত কুলীন বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাম সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xavier's University)। শিক্ষিকার বিকিনি পরা ছবি এক ছাত্র দেখে ফেলায়, তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপিকা (Professor)।

আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন  
 
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তন অ্যাস্টিস্ট্যান্ট প্রফেসর বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, "প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বাবা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান, এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।" সেন্ট জেভিয়ার্স যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে,স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছিলেন ওই অধ্যাপিকা। 

ভাইরাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছাত্রের বাবার লেখা সেই চিঠি। চিঠিতে বি কে মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, "আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি দেখতে পেয়েছে। ছবিগুলি অত্যন্ত কুরুচিকর, অশ্লীল,প্রায় নগ্ন বললেই চলে। ছবিগুলিতে শিক্ষিকা যৌন উত্তেজনামূলক পোশাক পরে রয়েছেন। শিক্ষিকার অন্তর্বাস পরা ছবি ছেলে দেখছে, বাবা হিসেবে আমার কাছে ভীষণ লজ্জার এই দৃশ্য। একজন ১৮ বছরের ছেলে তার অধ্যাপিকার স্বল্পাবাসের ছবি দেখছে, তাও আবার প্রকাশ্যে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে, এটি অত্যন্ত নিকৃষ্টমানের ও লজ্জাজনক ঘটনা।'' 

আরও পড়ুন: 'দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই  

 

প্রাক্তন অধ্যাপিকার অভিযোগ, এর পরই তাঁকে ডেকে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠক চলাকালীন তাঁকে অভিভাবকের চিঠিটিও দেখানো হয়। তাঁকে চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়। গত ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ওই অধ্যাপিকা পুলিশে অভিযোগ জানান, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকতে পারে। কারণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট মোডে রয়েছে, কোনও ছবিই বাইরের কারও পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বও কী করে ওই ছাত্র ছবি দেখতে পেল তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। 

অধ্যাপিকার অভিযোগ একরকম জোড় করেই ইস্তফা দেওয়ানো হয় তাঁকে। যদিও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন বলেই দাবি তাঁদের।  

Tags:

Professor

Bikini Controvery

St. Xavier's University


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর