মৃত বৃদ্ধার চালু রয়েছে বার্ধক্যভাতা! দুর্নীতির পিছনে কারা?
কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, মৃত বৃদ্ধা (ইনসেটে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মাসের পর মাস উঠে যাচ্ছে বার্ধক্য ভাতার টাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দির বাজার বিধানসভার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত হাতছাড়়া হতেই এই দুর্নীতি সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম অনুমতি হালদার। তাঁর বয়স ৭৫ বছর। ২০২০ সালের ৪ঠা জুন তাঁর মৃত্যু হয়। সেই মর্মে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিমাসেই বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে নেওয়া হয়। আর যা দেখে চক্ষু চরক গাছ তার পরিবারের লোকেদের। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিতে দুর্নীতির আঁতুরঘর, এমনটাই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। জানা গিয়েছে, এতদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড ছিল। গত পঞ্চায়েতে বিরোধী জোট পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে। স্থানীয় এক ব্যক্তি আরটিআই করেন। আর তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় সমস্ত বিষয়টি। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুমতি হালদার হালদারের নামে শুধুমাত্র একটি বার্ধক্য ভাতার অ্যাকাউন্ট নয়। রয়েছে দু দুটি বার্ধক্য ভাতার অ্যাকাউন্ট। একটিতে তাঁর নামের সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া থাকলেও অন্যটিতে তাঁর নামের পাশে অ্যাকাউন্ট নম্বরটি অন্যজনের। কিন্তু সেই নম্বরটি কার তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। মৃতের ছেলে সঞ্জীবন হালদার বলেন, এই বিষয় নিয়ে সঠিক তদন্ত হোক। কে বা কারা আমার মায়ের নাম করে দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে দিনের পর দিন টাকা তুলছে তার অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
বিজেপি নেতা মোহন হালদার বলেন, এই সমস্ত কিছুই হয়েছে তৃণমূলের বোর্ডে। সেই সময়ে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব থাকা প্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির মদতে এসব দুর্নীতি হয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় পাইক বলেন, এখনও আমাদের কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। এমন যদি হয়ে থাকে তার সঠিক তদন্ত করা হোক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।