কংগ্রেস ছাড়লেন কর্নাটক কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা...
বিজেপিতে ফিরলেন জগদীশ শেট্টার (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস ছেড়ে ফের নিজের পুরনো শিবির বিজেপিতে ফিরলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার (Jagadish Shettar)। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, লিঙ্গায়েত জনগোষ্ঠীর এই প্রভাবশালী নেতা জগদীশ শেট্টার।
কন্নড় রাজনীতিতে ফের গেরুয়া শিবিরে ফিরে জগদীশ শেট্টার (Jagadish Shettar) বলেন, ‘‘আমি আবার নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে কাজ করার জন্য উন্মুখ। উনি জাতির জন্য অনেক কিছু করছেন। তাই বিজেপিতে ফিরে এলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অতীতে দল আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। কিছু সমস্যার কারণে আমি কংগ্রেস পার্টিতে গিয়েছিলাম। গত ৮-৯ মাসে বিজেপিতে অনেক আলোচনা হয়েছে। কর্নাটকের বিজেপি নেতা-কর্মীরা আমাকে বিজেপিতে ফিরে আসতে বলেছিলেন। ইয়েদুরাপ্পাজি এবং বিজয়েন্দ্রজিও চেয়েছিলেন আমি বিজেপিতে ফিরে আসি। নরেন্দ্র মোদিজিকে ফের প্রধানমন্ত্রী হতে হবে, এই বিশ্বাস নিয়েই ফের বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।’’
প্রসঙ্গত, গত বছরই এপ্রিলে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেসময়ই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন শেট্টার। হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের ছ’বারের বিধায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২৩ সালের ভোটে টিকিট না পেয়ে সেসময় বিজেপি ছাড়েন তিনি। কংগ্রেসের কাছে টিকিট পেলেও গেরুয়া শিবিরের কাছে পরাস্ত হন জগদীশ (Jagadish Shettar)। জল্পনা রটে, কংগ্রেস তাঁকে বিধান পরিষদ থেকে জিতিয়ে আনবে এবং মন্ত্রী করবে। কিন্তু তা হয়নি।
আবার এও শোনা গিয়েছিল, লোকসভা ভোটে হুবলি থেকে নির্বাচিত ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশির বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হতে পারে শেট্টারকে। কিন্তু এসব জল্পনার মাঝেই কংগ্রেস ছাড়লেন তিনি। পারিবারিকভাবে শেট্টাররা প্রথম থেকেই জনসঙ্ঘের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শেট্টারের কাকা সদাশিব ১৯৬৭ সালের হুবলি কেন্দ্র থেকে জনসঙ্ঘের প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন। তাঁর বাবা এসএস শেট্টারও ছিলেন হুবলি শহরের মেয়র। দক্ষিণ ভারতের প্রথম জনসঙ্ঘের নেতা হিসাবে মেয়র হয়েছিলেন তিনি। শেট্টারের বিজেপিতে ফেরা নিয়ে বৃহস্পতিবার ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে শেট্টার যোগ দেওয়ায় আমাদের শক্তিবৃদ্ধি হল।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।