img

Follow us on

Sunday, May 19, 2024

Covid 19: করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, মাস্ক ও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন কি শেষ হয়ে গেল? 

সংক্রমণের জেরে নতুন কোনও প্রজাতি তৈরি হলে ফের বিশ্বজুড়ে আরেক স্বাস্থ্য বিপর্যয় দেখা দিতে পারে

img

প্রতীকী ছবি

  2023-05-07 13:55:05

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

কয়েক সপ্তাহ আগেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ (Covid 19) চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। রাজ্যে পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক! পজিটিভিটি রেট ১৮ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছিল রাজ্যে! কিন্তু ৪ মে-র ঘোষণার পর সব হিসাব কি গোলমাল হয়ে গেল? করোনা কি শেষ? তাহলে দিন কয়েক আগে কীসের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক? ৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে, করোনা মহামারি বা কোভিড-১৯ আর আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় নয়। ২০১৯ সালে চিনে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। তারপরে এই রোগ মহামারির আকার নিয়েছিল। গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ভারতেও এই মহামারি তীব্র আকার নিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় বা গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা আর আন্তর্জাতিক বিপর্যয় নয়। এই মহামারিকে মোকাবিলা করা গিয়েছে। 

তাহলে কি আমরা বিপদমুক্ত? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগকে আন্তর্জাতিক বিপর্যয় আর বলছে না। কারণ, এই রোগের (Covid 19) প্রকোপ অনেক কমেছে। কিন্তু আমরা পুরোপুরি বিপদমুক্ত, এ কথা বলা যায় না। কারণ, কয়েক সপ্তাহ আগেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা আবার দাপট বাড়িয়েছিল। করোনার নতুন প্রজাতি আর্কটুরাস সংক্রমণের ক্ষমতা বাড়াচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের মতো জনবহুল দেশে যে কোনও সংক্রামক রোগ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। তাই করোনা থেকে পুরোপুরি বিপদ আমাদের কাটেনি। 

করোনার বিপদ কাটাতে কোন দুই দাওয়াইয়ে ভরসা করতে হবে? 

করোনার বিপদ (Covid 19) থেকে মুক্তি দিতে পারে দুটি দাওয়াই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাস্ক আর ভ্যাকসিন-এই দুইয়েই ভরসা রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে বার্তা দিন দুয়েক আগে দিয়েছে, তার অর্থ কখনই এটা নয় যে, করোনা পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা জানিয়েছে, করোনার শক্তি কমেছে। তাই সচেতনতা বজায় রাখতেই হবে। করোনার শক্তি হ্রাস করতে ও সুস্থ থাকতে ভিড় এলাকায় মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। মাস্কের ঠিকমতো ব্যবহার সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আরেকটি ভরসা টিকা। করোনা ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। তাই ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে। একদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রবীণ নাগরিকদের সময়মতো টিকার ডোজ নিতে হবে, আরেকদিকে স্কুল পড়ুয়াদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নজর দিতে হবে। করোনা টিকাই পারবে এই রোগের শক্তি কমাতে। তাই করোনা টিকার উপরই সবচেয়ে বেশি ভরসা করছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া, ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

সতর্কতা এড়ালেই বিপদ! 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তার অপব্যাখ্যা হলেই বিপদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কখনই সচেতনতা কমাতে বলেনি। বরং এই পরিস্থিতিতে করোনা (Covid 19) নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি। কারণ, এখন অতিরিক্ত সংক্রমণের জেরে নতুন কোনও প্রজাতি তৈরি হলে ফের বিশ্ব জুড়ে আরেক স্বাস্থ্য বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। দিন কয়েক আগেই রাজ্যে করোনার নতুন প্রজাতি চোখ রাঙাচ্ছিল। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

WHO

Covid 19

bangla news

Bengali news

Mask

Vaccine


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর