প্রথম প্রচারেই বিরাট অস্বস্তিতে তৃণমূল প্রার্থী, বর্ধমানে কী হল জানেন?
বাঁ দিকে নিচে প্রার্থী এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক গোষ্ঠীকোন্দল। নিজেস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রথম প্রচারেই বিরাট অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হল তৃণমূল প্রার্থীকে। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে দলীয় প্রার্থীকে ফিরতে হল কার্যত প্রচার না করেই। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারীর গন্তারে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় চরম বিপাকের মধ্যে পড়ে অস্বস্তি বোধ করলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শর্মিলা সরকার। যদিও তৃণমূলের পক্ষে ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে এলাকার (Purba Bardhaman) কর্তৃত্ব থাকবে কার হাতে? প্রার্থী শর্মিলা সরকারের উপস্থিতিতেই মেমারীর বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যায়। শুধু তাই নয়, কার্যত হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায় ঘটনা। দুই পক্ষের অনুগামীদের ধ্বস্তাধস্তি এবং মারামারিতে কার্যত প্রচার করতে পারলেন না প্রার্থী। এদিন পূর্ব নির্ধারিত প্রচার কর্মসূচী অনুযায়ী শনিবার সকালে মেমারীর গন্তার এলাকায় প্রচারে আসেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। সেখানে মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য ও মেমারী ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নিতাই বন্দোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তিতে বাধে। এরপরই কার্যত প্রচার না করেই এলাকা ছাড়তে হয় প্রার্থীকে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ‘গনি খান চৌধুরী ঈশ্বর নন’, তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল
বর্ধমান পূর্বের (Purba Bardhaman) তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “কোনও রকম বচসা আমি দেখতে পাইনি। মারামারি হয়নি। দলীয় কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলাম। প্রচারের মাঝে একটু রেস্ট নিয়ে ছিলাম। সব ঠিক আছে।” আবার জেলার তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “আমাদের লোকসভা প্রার্থী এসেছেন প্রচার হয়েছে। ঝামেলার কোনও ঘটনা ঘটেনি।”
জেলা (Purba Bardhaman) বিজেপির মুখপাত্র শান্তরূপ দে বলেন, “তৃণমূলের কাজ হল তোলাবাজি করা। এলাকা কাদের হাতে থাকবে এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল হয়। মূলত প্রচার করা উদ্দেশ্য নয়। এলাকা কাদের দখলে থাকবে, তাই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়। তৃণমূল ভালো করে জানে যে তারা হারবে। তাই প্রচারের নামে মানুষের মনে ভয় তৈরি করছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।