img

Follow us on

Wednesday, May 01, 2024

Electoral Bonds: তৃণমূলকে অনুদান দিতেই ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ কলকাতা পুলিশের!

ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেও আচমকা বন্ধ করেছিল কলকাতা পুলিশ, নেপথ্যে কোন কারণ?...

img

ছবি—প্রতীকী।

  2024-04-04 17:50:37

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bonds) মাধ্যমে তৃণমূলকে অনুদান দেওয়ার পুরস্কার পেল ফিউচার গেমিং! ফিউচার গেমিং ও হোটেল সার্ভিসেস এই দুই সংস্থারই মালিক সান্তিয়াগো মার্টিন। এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে দুটি মামলার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই মামলা দুটি বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ। সান্তিয়াগোর এই দুই কোম্পানিই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

সান্তিয়াগোর কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ (Electoral Bonds)

পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ডিয়ার লটারি চালায় সান্তিয়াগোর কোম্পানি। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণা ও ক্রিমিনাল ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। সেই অভিযোগেরই তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। সেই তদন্তই বন্ধ করে (Electoral Bonds) দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সম্প্রতি নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তখনই জানা গিয়েছে, সান্তিয়াগোর ফিউচার গেমিং ২০২০ সালের অক্টোবরে তৃণমূলকে অনুদান বাবদ দিয়েছে ১ কোটি টাকা।

কোটি কোটি টাকা অনুদান 

পরের বছর জুলাই মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে এই সংস্থা অনুদান দিয়েছে ৩০ কোটি টাকা। এই বছরেরই অক্টোবরে ফের ৪৬ কোটি টাকা দিয়েছে ফিউচার গেমিং। ২০২২ সালে মমতার দলকে সান্তিয়াগোর এই সংস্থা আবারও ৬০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। জানা গিয়েছে, অনুদান পাওয়ার পরে পরেই ২০২১ এর ডিসেম্বর এবং পরের বছরের জানুয়ারিতেই সান্তিয়াগোর দুই সংস্থার বিরুদ্ধে চলা দুটি মামলার তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুুন: মুখ থুবড়ে পড়বে ‘ইন্ডি’, গাড্ডায় কংগ্রেস, অপ্রতিরোধ্য বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

মামলা বন্ধের পরেই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে আরও অনেক বেশি টাকা। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মমতার দলকে অনুদান দিয়েই গিয়েছে সান্তিয়াগোর সংস্থা। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ ৫৪২ কোটি টাকা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর অবশ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া।

সান্তিয়াগোর সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠায় ২০১০ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিন্তু ২০১৪ সালের পরেও, সেভাবে এগোয়নি তদন্ত। ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। কলকাতা পুলিশ ২০১৯ সালে এফআইআর দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করে ইডি। সেহেতু রাজ্য পুলিশ ক্লোজার রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে, তাই ইডির তদন্ত আপাতত বিশবাঁও জলে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের (Electoral Bonds)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Tags:

cbi

Madhyom

tmc

bangla news

ED

Bengali news

kolkata police

Money Laundering Case

news in Bengali   

electoral bonds

future gaming


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর