img

Follow us on

Saturday, Jul 27, 2024

Raiganj: রায়গঞ্জ শহরে ভরদুপুরে জোড়া খুন! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে বাবার রক্তাক্ত দেহ দেখল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, কী হয়েছে জানেন?

img

দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)

  2024-02-10 16:15:28

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় বাড়ির মধ্যে থেকে রক্তাক্ত জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। শিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার সৎসঙ্গ স্কুলের কাছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম তপন দে ( ৫৪) এবং মিন্টু সরকার ওরফে বাপি (৫২)। তাঁরা দুজনেই জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের অস্থায়ী কর্মী। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, ঘটনাস্থল থেকে ৮০০ মিটার দূরে থানা। তারপরও দিনেরবেলায় জোড়়া খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj)  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার বাসিন্দা তপন দে তাঁর মেয়ে তানিয়া দের সঙ্গে থাকতেন। তপনবাবুর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁর স্ত্রীর সুলেখা দে দুবছর আগে তাঁদের ছেড়ে বাপের বাড়ি কলকাতায় চলে যান। শনিবার দুপুরে তপন দে -র বন্ধু রতন সরকার তাঁর বাড়িতে আসে বলে জানা গেছে। তপনবাবুর বাড়িতে তাঁর এক বন্ধু মিন্টু সরকার ছিলেন। আর তাঁর মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যায়। কিছুক্ষণ পরে রতনকে বাড়িতে তালা দিয়ে বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর হাতে রক্ত লেগেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তালা ভেঙে দেখে, তপনবাবু ও মিন্টুবাবুর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুব শেরপা। এই ঘটনায় রতনকে আটক করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এভাবে বাড়িতে ঢুকে দিনের বেলায় খুন করে চলে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

মৃতের মেয়ের কী বক্তব্য?

তপনবাবুর মেয়ের বক্তব্য, বাবা একজনের কাছে টাকা পেত। ৬ দিন আগে বাবাকে ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। এদিন সকালে বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে চলে আসি। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পরই এই দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পারি। বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে পড়ে থাকতে দেখি। বাবাকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

West Bengal

bangla news

Bengali news

Murder

Raiganj

Uttar Dinajpur

phe worker


আরও খবর


ছবিতে খবর