img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

Purba Bardhaman: বাঁকুড়ার পর খণ্ডঘোষে মাটির দেওয়ালে চাপা পড়ে মৃত ১, পাকাবাড়ি কেন পাননি প্রশ্ন

আবাস যোজনার বাড়ি মেলেনি, দেওয়াল ভেঙে মৃত ১!

img

দেওয়াল চাপা পড়া থেকে উদ্ধার কাজে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

  2023-11-24 18:08:28

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষে বাঁকুড়ার বাঁকদহতে মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল গ্রামে একটিও পাকা বাড়ি কেন হয়নি? রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা কী করেছে? একই রকম ভাবে গতকাল, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষের গোপালবেড়া অঞ্চলের পূর্বচক গ্রামে একটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে তিনজন মহিলার চাপা পড়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেও পাকা বাড়ি মেলেনি। এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন যথার্থ প্রাপকদের পাকা বাড়ি দিতে কেন বঞ্চনা করছে রাজ্য সরকার।

ঘটনায় নিহত ও আহতদর পরিচয় (Purba Bardhaman)

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বচক গ্রামে প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় শেষমেষ তিনজন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁদেরকে দ্রুততার সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যালে (Purba Bardhaman) পাঠানো হলে তাঁদের মধ্যে জুলেখা বেগম (৩৩) এর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিকের নাম শেখ হবিবর ইসলাম। ঘটনায় আহতরা হলেন প্রতিবেশী মধুরানী বেগম ( ৩৮ ) এবং সাবানা বেগম (২৮)। তাঁরা বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে চিৎকিসাধীন রয়েছেন। মৃত জুলেখা বেগমের স্বামী বলেন, "বাড়ি পাকা থাকলে আজ এই ভাবে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না।"

জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধার হয়

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খণ্ডঘোষ, রায়না ও সেহারাবাজার (Purba Bardhaman) ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোটা গ্রামের মানুষও। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর বর্ধমান থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ছিল। গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, মাটির দোতলা বাড়িটির মেরামতের কাজ চলছিল।

ঠিক কীভাবে ভাঙল দেওয়াল?

স্থানীয় (Purba Bardhaman) সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে মাটির মেঝে খুঁড়ে দেওয়ালে লোহার রড ঢোকানোর কাজ চলছিল। নিচ থেকে দোতলায় বেশ কিছু সামগ্রী, আসবাবপত্র উপরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির বড় বৌ জুলেখা বেগম একটি আলমারি সরাতে যাওয়ার সময় আচমকা উপরের দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আর আলমারির নিচে চাপা পড়ে যান তিনি। একই সময়ে আরও দুই প্রতিবেশী মহিলা সেখানে ছিলেন, তাঁরাও দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে যান। প্রতিবেশীরা বলেন, আজ যদি রাজ্য সরকারের দেওয়া একটি পাকা বাড়ি থাকত তাহলে এইরকম বিপত্তি ঘটত না। একটি প্রাণের মৃত্যু ঘটত না। 

আবেদন করলেও পাকা বাড়ির মেলেনি

পরিবার অত্যন্ত গরিব, কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেও পাওয়া যায়নি পাকা বাড়ি। মাটির জীর্ণ দুইতলা বাড়িতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। হঠাৎ ভেঙে পড়ে বাড়ির দেওয়াল। আবার পূর্বচক গ্রামের তৃণমূল গ্রাম সভাপতি মুন্সি সাইদুল রহিম বলেন, “প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি নিজে এই পরিবারের নাম আবাস তালিকার জন্য পাঠিয়েছিলাম। বাড়ির সার্ভে হয়েছিল। কিন্তু সফটওয়্যার আপলোডিংয়ের সমস্যার জন্য এই পরিবারের নাম বাদ গিয়েছে।" অন্যদিকে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, "এই মৃত্যুর দায় তৃণমূলকে নিতে হবে। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো টাকা তৃণমূল চুরি করছে।"

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

House

Death

Bankura

purba bardhaman

khandhghose

earthen


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর