img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

West Bengal Health University: চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, দুর্নীতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েও? 

পদ আগলাতেই কি আদালতের দ্বারস্থ রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য? 

img

রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। সংগৃহীত ছবি

  2023-08-16 13:55:01

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে, কখনও পরীক্ষা ঘিরে নানা অব্যবস্থা প্রকাশ্যে এসেছে। আবার কখনও বদলির প্রক্রিয়া নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তারপরেও কোনও রকম পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। কিন্তু পদ চলে যাওয়ার পরেই সক্রিয় তিনি। আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্যের পদচ্যুত হওয়া ও তারপরে তাঁর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনাকে অন্তত এভাবেই কটাক্ষ করছে রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ।

কী অভিযোগ উঠছে উপাচার্যের (West Bengal Health University) বিরুদ্ধে? 

সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, নিয়োগ থেকে বদলি, কিছুই নিয়ম মতো হচ্ছে না। একের পর এক সরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মাফিক মেডিক্যাল পড়ানোর কোনও পরিকাঠামো সেখানে গড়ে উঠেছে না। আর সে নিয়ে কোনও রকম সক্রিয়তা দেখাননি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্য সুহৃদা পাল। অভিযোগ, একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের একাধিক বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ করা হয় না। ফলে, এমবিবিএস পড়ুয়াদের নিয়মিত ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয় না। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। 
এছাড়াও বদলি নিয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ। নির্দিষ্ট সময় মেনে বদলির রীতি কার্যত উঠে গিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এ নিয়ে উপাচার্যকে একাধিকবার জানানোর পরেও কোনও হেলদোল হয়নি। শুধুমাত্র রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হলে তবেই কলকাতা বা বড় শহরের মেডিক্যাল কলেজে পড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এমন অভিযোগ করছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ।

সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ (West Bengal Health University) কী?

তবে, সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এমবিবিএস পড়ুয়ারা মেডিক্যাল কলেজে নানা কুকর্ম করলেও কোনও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি পরীক্ষার সময়েও প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় করছে না বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন এক তৃণমূল নেতা মোবাইল হাতে পরীক্ষা হলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। তারপরেও সেই পরীক্ষা বাতিল কিংবা সেই ঘটনার তদন্তের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে কল্যাণী জেএনএম, একাধিক মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার সময় নজরদারি করা যায় না। এমনকি পরীক্ষার্থীদের পাশ করানো নিয়েও শিক্ষক-চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করলেও উপাচার্য কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেই অভিযোগ। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতেই পদ আগলে রাখতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সুহৃদা পাল। আর তারপরেই চিকিৎসকদের একাংশের মন্তব্য, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাতে যদি এতখানি তৎপর হতেন, তাহলে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়াশোনার মান অনেক ভালো হতো। সর্বপরি রাজ্যের মানুষ সুদক্ষ চিকিৎসক পেতেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বললেন সুহৃদা পাল (West Bengal Health University)? 

সমস্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ সুহৃদা পাল (West Bengal Health University)। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, বিষয়টি আদালতের অধীনে রয়েছে। তাই কোনও মন্তব্য করবেন না।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

west bengal university of health sciences

vc of health university

irregularities and corruptions


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর