পুলিশ কর্তার নাম করে প্রতারণা করতে গিয়ে কী ঘটল?
পুলিশের জালে দুই প্রতারক (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণনগরের এক স্কুল শিক্ষকের কাছে উত্তরবঙ্গের এক পুলিশ কর্তার পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে শিক্ষক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, এখনও প্রতারকদের হদিশ মেলেনি। এবার সেই একই কায়দায় প্রতারকরা ফাঁদ পেতে প্রতারণা শুরু করেছেন। এবার উত্তরবঙ্গ নয়,পুরুলিয়া (Purulia) পুলিশ সুপারের নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর্থিক প্রতারণার করার অভিযোগ উঠল প্রতারকদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল অভিযুক্তরা। তাঁর ইউনিফর্মে থাকা একটি ছবিকেও ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যাকাউন্টে। তারপর সেখান থেকেই পাতা হয় প্রতারণার ফাঁদ। ওই প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে একটিই মেসেজ পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, তাতে লেখা রয়েছে, সিআরপিএফে তাঁর এক বন্ধু কাজের জায়গা থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে যাচ্ছেন, সে কারণে তাঁর বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। কেউ চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। এই পোস্ট, মেসেজ দেখে অনেকেই যোগাযোগ করেন। অগ্রিম বুকিংয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। প্রতারণা করার অভিযোগে হাবড়া থেকে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাহুল ঘটক ওরফে প্রীতম এবং শান্ত মাঝি। রাহুলের বাড়ি হাবড়ায়। অন্যজন শান্তর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গুমলায়। সেও বর্তমানে হাবড়াতেই থাকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। তাঁরা আরও বড় কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কতজন ব্যক্তিকে তাঁদের ফাঁদে ফেলেছেন তাও দেখা হচ্ছে।
প্রতারিতরা বলেন, পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ কর্তার প্রোফাইল দেখেই আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। যে টাকা চাওয়া হয়েছিল তা মিটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, আমরা যে প্রতারিত হচ্ছেন তা তখনও বুঝতে পারেননি। পরে, আসবাবপত্র না পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ। এরপরই প্রতারণার বিষয়টি আমাদের সামনে আসে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।