"আমি বাংলাকে নিজের ভূমি হিসেবে মনে করতে শুরু করেছি..."
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল পদে তাঁর বর্ষপূর্তি। গত বছর ২৩ নভেম্বর রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তাই বর্ষপূর্তিতে গুচ্ছ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে রাজ্যপাল ভবনের তরফে। যেহেতু ২৩ তারিখে হচ্ছে বর্ষপূর্তি, তাই এদিনই হবে ‘মিল উইথ গভর্নর’ (CV Anand Bose)।
রাজ্যপালের সঙ্গে এক পঙক্তিতে মধ্যাহ্নভোজ সারতে পারবেন আম বাঙালি। কেবল এদিন নয়, সপ্তাহের একটি বিশেষ দিনে রাজ্যপালের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তফশিলি জাতি-উপজাতি পড়ুয়াদের বৃত্তিও দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “আমি বাংলাকে ভালবাসি। বাংলার মানুষকে অত্যন্ত ভালবাসি। আমি বাংলাকে নিজের ভূমি হিসেবে মনে করতে শুরু করেছি। এখানকার রাজ্যপাল হিসেবে আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে।”
তিনি (CV Anand Bose) বলেন, “বাংলা আমার কর্মভূমি। রাজ্যপাল হিসেবে যে দায়িত্ব আমার কাঁধে রয়েছে, সেটা গত এক বছরে পালন করার চেষ্টা করছি আমি। সংবিধান রক্ষা করা এবং মানুষের উপকার করা আমার দুটি কাজ। আমি তা হৃদয় দিয়ে করেছি। হিংসা বা দুর্নীতি সরকার করেছে, সেটা বলছি না। আমি মনে করি হিংসা বা দুর্নীতি হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের মতপার্থক্য হতে পারে। কিন্তু দুজনকেই মানুষের কথা ভাবতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত ও রাজ্যপাল মনোনীত। তাই দু পক্ষকেই পরস্পরের জায়গা বুঝে কাজ করতে হবে।”
আরও পড়ুুন: লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল, ভারতকে নয়া বার্তা তেল আভিভের?
রাজ্যপাল বলেন, “আমি বলছি না যে গত এক বছরে রাজ্যে যা যা ঘটনা ঘটেছে, তার পিছনে প্রশাসন বা রাজ্য সরকার সরাসরি জড়িত রয়েছে। আমার লক্ষ্য হিংসা ও দুর্নীতি বন্ধ করা। তাই আবারও রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন, ঘুষ নেবেন না, ঘুষ দেবেন না। আর রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে ধরনের সংঘাতের কথা বলা হয়, তেমন সংঘাত আদতে নেই। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের (CV Anand Bose) মধ্যে সম্পর্কের কয়েকটি স্তর থাকে। মানুষের চাহিদা মেটাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল সেই বিষয়টা সাংবিধানিকভাবে দেখবেন। উভয়কেই আইন মেনে চলতে হবে। পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকলে ভাল কাজ হয়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।