খাদ্যসামগ্রী লোপাট! তৃণমূল কাউন্সিলারের রেশন দোকান সিল
এভাবেই সিল করে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলারের রেশন দোকান। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই চুরি (Corruption) যে কত জায়গায় হচ্ছে, তার নতুন নতুন প্রমাণ সামনে আসছে। একদিকে যেমন জোরালো অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রেরই নানা প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা, তেমনি তাঁরা ছাড় দিচ্ছেন না অসহায় গরিব মানুষকেও। তাই রেশনের সামগ্রীতেও থাবা বসাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। এবার তেমনই একটি ঘটনা সামনে এল, যেখানে শুধু অভিযোগেই তা সীমাবদ্ধ রইল না। প্রশাসন কার্যত বাধ্য হল ব্যবস্থা নিতে। ফের গরমিলের অভিযোগ ওঠায় সিল করে দেওয়া হল তৃণমূল কাউন্সিলারের রেশন দোকান। ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে আসানসোলে।
কীভাবে ধরা পড়লেন তৃণমূলের কাউন্সিলার (Corruption)?
আসানসোল পুরসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহঃ সেলিম আখতারের রেশন দোকানে ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ (Corruption) পেয়ে অভিযান চালায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা খাদ্য বণ্টন দফতর। আচমকা অভিযানে বেশ কিছু গরমিলের সন্ধান পায় তারা। এরপরেই রেশন দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়। সাসপেন্ড করা হয় রেশন দোকানের মালিক তৃণমূলের কাউন্সিলার মহঃ সেলিম আখতারকে। এর আগেও এই রেশন দোকানের বিরুদ্ধে গরমিলের অভিযোগ পেয়ে জরিমানা করা হয়েছিল। অভিযোগ, এরপরেও রেশন দোকানের মালিক নিজেকে সংশোধন করেননি। যার ফলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হল খাদ্য বিভাগ।
শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর (Corruption)
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর। কেন্দ্রের পাঠানো চাল, গম লোপাট (Corruption) করে দিচ্ছেন খোদ তৃণমূলের কাউন্সিলার। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমূল হক বলেন, বিরোধীদের কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা। তৃণমূলে থাকলেই দুর্নীতির সাথে যুক্ত বলা হচ্ছে। আর যখনই তাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন, তখনই তাঁরা ওয়াশিং মেশিনে ধোওয়া হয়ে যান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।