img

Follow us on

Thursday, May 02, 2024

ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়েই বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়েছেন...

img

ফাইল ছবি।

  2023-02-26 18:21:43

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের (College) অস্তিত্ব শুধু খাতায়-কলমে। নেই কোনও ভবন, নেই কোনও অফিস, নেই ক্লাসরুমও। কার্যত বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই! অথচ, ওই কলেজ থেকেই ফি বছর ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি (Degree) পেয়েছেন। সেই সব ডিগ্রি দেখিয়ে তাঁরা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাও হয়ে গিয়েছেন। এই রকম এক আধটা কলেজ নয়, ইডি-র (ED) আধিকারিকরা প্রায় ২ হাজার ডিএলএড (D L ED) এবং বিএড (B ED) কলেজের সন্ধান পেয়েছেন।

ডিগ্রির কারবার...

তদন্তকারীদের দাবি, ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি দেওয়ার প্রামাণ্য নথি তাঁদের হাতে রয়েছে। ভুয়ো কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়েই বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়েছেন। ওই কলেজগুলিতে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কলেজ চালু করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। তাই এই কলেজগুলির এনওসি পাওয়ার সময় যাঁরা পর্ষদ আধিকারিক বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র (ED) আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন রাজ্যে বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজের সংখ্যা রাতারাতি তিন-চারগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষ নিজে যেমন এই কারবার শুরু করেছিলেন, তেমনই এই পথে কোটি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অনেককে।

আরও পড়ুুন: আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধারে নামতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দাবি প্রাক্তন র প্রধানের

এই কলেজগুলি দুর্নীতির অন্যতম আখড়াও হয়ে উঠেছিল। টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি বিক্রি করেছে তারা। এনিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারীদের। তাঁরা দেখেন, নথিতে উল্লিখিত ঠিকানায় কলেজ তো দূরের কথা, কোনও বিল্ডিংই নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পঠনপাঠনের বালাই ছিল না। তদন্তকারীদের দাবি, এই ভুয়ো কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য প্রার্থী পিছু ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। তাঁদের বলে দেওয়া হত, ক্লাস করতে হবে না। ছ' মাস অন্তর ডেকে হাজিরা খাতায় সই করিয়ে নেওয়া হত। পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। ছাত্রছাত্রীদের নামে ভুয়ো উত্তরপত্র জমা পড়ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

কোর্সের সময়সীমা শেষ হলে পড়ুয়াদের এসএমএস পাঠিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হাজির হতে বলা হত। সেখান থেকে হাতে হাতে সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হত। কিছু কিছু কলেজ আবার কোনও একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেটিকে 'পরীক্ষার হল' বলে দেখাত। তারপর আগে থেকে লিখে রাখা উত্তরপত্র পর্ষদ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিত। এই বিএড কলেজগুলি মূলত দক্ষিণবঙ্গের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ডিএলএড কলেজগুলি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আওতাধীন। এখানেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ভূমিকা। নিয়ম অনুযায়ী, এরকম কোনও কলেজ অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বিচার করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তাদের। তাদের প্রতিনিধি দল পরিকাঠামো সহ নানা বিষয়ে সন্তুষ্ট হলে তবেই এনওসি মেলে। এক্ষেত্রে কোনওটাই হয়নি।

ইডি-র (ED) আধিকারিকরা আরও জেনেছেন যে, নতুন কলেজের অনুমোদনের জন্য আবেদনের কপি তত্‍কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়ত। তাঁর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তারা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে এনওসি দিয়ে দিতেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

 

Tags:

ED

Bengali news

Recruitment scam

false degree


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর