রেশন-দুর্নীতি মামলায় ইডিকে হামলার ছক শাহজাহানেরই, আদালতে জানাল সিবিআই
শেখ শাহজাহান। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার সময় বাড়ির কাছ থেকেই নির্দেশ দিচ্ছিলেন শেখ শাহজাহান। ফোনে এভাবে নির্দেশ দিয়েই রেশন-দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। পরিকল্পিত এই ছকের পিছনে ছিলেন এই তৃণমূল নেতাই। ঠিক এমনটাই আদালতে দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির করা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। আদালত চত্বরকে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।
সিবিআই-এর বক্তব্য (Sandeshkhali)
ছ'দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতেই আদালতে ফের তোলা হয় শাহজাহানকে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের নির্দেশেই গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি নিজেই বাড়ির পাশের লোকজনকে একত্রিত হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।” একই সঙ্গে সুকমল সর্দার এবং মেহবুর মোল্লাকে এদিন হাজির করা হয়েছিল। তাঁদের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অজিত মাইতিকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সন্দেশখালি থানার পুলিশ ৭৬ নম্বর মামলায় তাঁকে ৭ দিনের জন্য হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল। উল্লেখ্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অজিতকে দুর্নীতি এবং জমি দখলের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁকে মারধর করতে উদ্যত হয় এলাকাবাসী। এরপর একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। টানা ছয় ঘণ্টা আটকে থাকার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।
৫ জানুয়ারি হামলা হয়েছিল
সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তিন ইডির অফিসার সহ কেন্দ্রীয় জওয়ানদের উপর আক্রমণ করা হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান পলাতক। সেই সঙ্গে তাঁর অনুগামীদের অত্যাচারের ঘটনায় এলাকার মানুষ ব্যাপক আন্দোলন করেন। চাপে পড়ে শিবু-উত্তমের মতো ঘনিষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় হয়। হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর কাছে তদন্তভার যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।