আসানসোলে গরু পাচারের সময় হাতেনাতে ধরলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, তারপর কী হল?
জামুরিয়া থানা (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহারে। সিবিআইয়ে কড়া নজরদারিতে গরু পাচার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া এতদিন আসানসোল সিবিআই গরু পাচার মামলা চলছিল। এবার সেই মামলা আসানসোল (Asansol) সিবিআই আদালত থেকে মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। তবে, পুলিশ প্রশাসন গরু পাচার রুখতে কতটা সক্রিয় তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সাধারণ মানুষ এই বেআইনী কারবারের বিরুদ্ধে এককাট্টা। বুধবার রাতেই আসানসোলের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় গরু বোঝাই ট্রাক আটক হওয়ার ঘটনা সেকথা প্রমাণ করেছে। পুলিশ নয়, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু পাচার হওয়া গাড়ি আটক করেন। ফলে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বুধবার রাতেই আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় গরু বোঝাই একটি ট্রাক যাচ্ছিল। গাড়িটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে জাতীয় সড়কের উপর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। উদ্ধার করা হয় ৩১টি গরু। এরমধ্যে ট্রাকে ১৮টি গরু এবং ১৩টি বাছুর ছিল। আপাতত স্থানীয় একটি গোশালায় গরুগুলিকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ট্রাকটির নম্বর পশ্চিমবাংলার। তাই ঝাড়খণ্ড থেকে লরিটি ঢুকে কোথায় যাচ্ছিল তা স্পষ্ট নয়। ওই লরিতে যে ভাবে গাদাগাদি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাতে দু'টি বাছুর অচেতন হয়ে যায়। আরও বেশ কয়েকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু পাচারের অভিযোগে ট্রাকটি আটক করেন। পরে, সেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গরুগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। কোথায় থেকে এই গরুগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ট্রাকের চালক এবং খালাসি পালিয়ে যাওয়ায় কাগজপত্র হাতে আসেনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।