গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে কী বললেন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র?
বারাসত জেলা হাসপাতালে বিজেপির রাজ্য নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে একটি বাড়িতে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ ওঠে চার যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকায়। নির্যাতিতা যুবতীকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বারাসত হাসপাতালে সেই নির্যাতিতাকে দেখা করতে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি তাপস মিত্র সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এদিন তিনি নির্যাতিতার (Gang Rape) সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বিজেপি নেত্রীকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরে বিজেপি নেত্রী সোজা চলে যান বারাসত হাসপাতালে সুপার সুব্রত মণ্ডলের কাছে। সেখানে গিয়ে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে তিনি সুপারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কেননা, ওই নির্যাতিতার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, দেখা করা যাবে না। পরে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি নির্যাতিতার বাড়ির লোক দেখার অনুমতি দেয় তবেই তারা দেখা করতে পারবেন। এরপরই নির্যাতিতার মা এসে দেখা করার অনুমতি দিলে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্যাতিতা কিছু না বলতে পারে, তারজন্যই আমাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। ২০২১ সালে ওই মেয়েটির ভাইকে খুন করা হয়েছিল। তখন ওই পরিবারটি মধ্যমগ্রামে থাকত। তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যই থেকে গিয়েছে। কারা মেরেছে তা এখনও জানা যায়নি। এমনকি ময়না তদন্তের রিপোর্টটা পর্যন্ত বাড়ির লোককে দেওয়া হয়নি। নির্যাতিতার ভাই সুলভ পোদ্দার বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন। আমরা আলাদা করে তদন্তের দাবি জানাব। পাশাপাশি তার ভাই কীভাবে মারা গিয়েছে তারও তদন্তের দাবি জানাব এবং আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে এর বিচার আমরা করব এবং প্রকৃত দোষী যারা তাদের শাস্তির দাবি জানাব। প্রসঙ্গত,পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে নির্যাতিতা যুবতী টাকা ধার চেয়েছিলেন। সেই টাকা দেওয়ার কথা বলে ওই যুবতীকে ডেকে পাঠানো হয়। তারপরই চারজন মিলে যুবতীকে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (Gang Rape) করে। রাত তিনটে নাগাদ অচৈতন্য অবস্থায় বছর চব্বিশের ওই তরুণীকে উদ্ধার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, তাকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। ধৃতরা হল তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই শিকদার ও গোপাল পাল। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর এলাকায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।