ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা
প্রতীকী চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের একেবারে শেষ বেলায় ফের বঙ্গ পুলিশে রদবদল। বসিরহাট পুলিশ জেলার এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খানের বদলির নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সন্দেশখালির আন্দোলন চলাকালীন আমিনুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে ভোটের (Loksabha Election 2024) কোনও কাজে আমিনুলকে ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কোটেশ্বর রায়কেও বদলির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকারকেও বদলি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত লোকসভা ভোট চলাকালীন রাজ্য পুলিশের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে নানান জায়গায় শাসকের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। ভোট (Loksabha Election 2024) চলাকালীনও দেখা গেছে শাসকদলের কোন নেতা বিক্ষোভের মুখে পড়লে পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়তার সঙ্গে কাজ করছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রার্থীরা আক্রান্ত হলে ঘন্টার পর ঘন্টা পুলিশকে নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: হুগলিতে ইভিএম বদল হতে পারে! আশঙ্কায় স্ট্রং রুমে হানা দিলেন লকেট
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “১৫ জন আইপিএস অফিসারকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে ময়দানে নামিয়েছিল শাসক দল। তাঁরা বিজেপি এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের জন্য ভোট করিয়েছে।” শুধু বিজেপি নয় রাজ্য পুলিশের বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীও।
এর আগে কলকাতা দক্ষিণের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক রশ্মী কমলকে ও নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের অতিরিক্ত জেলা শাসক দিব্যা লঙ্গনাথনকেও নির্বাচনী কোনও দায়িত্বে না রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তাঁদের নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) কোন দায়িত্বে না রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। দুজনের বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার যে তিনজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বিকল্প হিসেবে মাথাপিছু তিনটি করে নামের সুপারিশ করতে হবে। এই নামগুলির মধ্যে তিনজনকে পরবর্তী আধিকারিক হবেন তা বেছে নেবে কমিশন। প্রসঙ্গত যে আমিনুলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে শেখ শাহজাহানের মোবাইল গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোনটি রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এই আমিনুল ইসলাম খান। সিবিআই এবং ইডি শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত করলেও তাঁদের হাতে এখনও শাহজাহানের মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনের হদিশ পেতে আমিনুলের বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।