মামলাকারীর অভিযোগ, ববিতা সরকারের থেকে তাঁর নম্বর ও যোগ্যতা বেশি থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি।
ববিতা-অনামিকা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আনার পিছনে যার অগ্রণী ভূমিকা ছিল, এবার তাঁর চাকরি নিয়েই উঠল প্রশ্ন। ববিতা সরকারকে (Babita Sarkar) চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ অনামিকা রায় নামের এক চাকরিপ্রার্থী। প্রসঙ্গত, ববিতার করা মামলার ভিত্তিতেই বাতিল হয় একের পর এক ভুয়ো শিক্ষকের চাকরি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার জায়গায় চাকরিও পান ববিতা। কিন্তু এখন এই ববিতার চাকরি নিয়েই উঠল প্রশ্ন। অনামিকার দাবি, ববিতার থেকে তাঁর বেশি নম্বর রয়েছে।
মামলাকারীর অভিযোগ, ববিতা সরকারের থেকে তাঁর নম্বর ও যোগ্যতা বেশি থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। ববিতা (Babita Sarkar) অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে এর আগেই দাবি করেন অনামিকা। এবার এই মামলা উঠল হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ববিতার চাকরি খারিজের আবেদন জানান শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়। মামলাটি গৃহীত হয় হাইকোর্টে। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।
সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম সারির আন্দোলনকারী ববিতার চাকরির ‘বৈধতা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ, এসএসসি অ্যাকাডেমিক স্কোরে ববিতাকে (Babita Sarkar) ২ নম্বর বেশি দিয়েছে। তাই বেশ কয়েকজন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে টপকে তিনি নিয়োগপত্র পেয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ববিতা সরকারের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭৭। যার মধ্যে অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই আবেদনপত্রে দেখা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরে, ৮০০-র মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ। কিন্তু, ফর্মে লেখা তিনি ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। আর তার ভিত্তিতেই ববিতাকে অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২ নম্বর বেশি দিয়েছে কমিশন। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর যেখানে ৩১ হওয়ার কথা, সেখানে তিনি পেয়েছেন ৩৩। আর এরপরেই তাঁর চাকরি বাতিলের দাবি ওঠে।
আরও পড়ুন: টাকা নিয়ে রসিদ দিতেন না মানিক, বিস্ফোরক দাবি একদা ঘনিষ্ঠ তাপসের
প্রসঙ্গত, বর্তমানে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ববিতা (Babita Sarkar)। হাইকোর্টের নির্দেশে, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর ৪৩ মাসের উপার্জিত বেতন, প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা পান তিনি। তাঁর এই ২ নম্বর কমে গেলে চাকরিও চলে যেতে পারে। এই বিষয়ে ববিতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "নিশ্চই, তাতে কোনও অসুবিধে নেই। আমার লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: