"গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই..."
ইডির প্রশ্নবাণের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্নবাণের ধাক্কা সামলালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। যদিও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “আমাকে ছিয়ানব্বই ঘণ্টা জেরা করেও কিছু হবে না।”
বিজেপিকে রুখতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দল। কিছু দিন আগেও তৃণমূলের গায়ে সর্বভারতীয় তকমা সেঁটে দিয়েছিলেন দলীয় নেত্রী। সেই তকমাও মুছে গিয়েছে। তবে এদিন ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো যা বললেন, তাতে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। ঘাসফুল শিবিরের এই নেতা বলেন, “সব দল ছেড়ে ইডি বেছে বেছে আমাকে নোটিশ দিয়েছে। দিয়েছে ভাল করেছে। কিন্তু হাজিরার জন্য ডাকল, যেদিন বৈঠক রয়েছে। ৪টের সময় দিল্লিতে বৈঠক ছিল।"
তিনি বলেন, "বৈঠকে যদি আমি অংশগ্রহণ করতে চাই, তাহলে ২টোর মধ্যে আমাকে দিল্লিতে পৌঁছতে হবে। আর আমাকে একই দিনে কলকাতার ইডি অফিসে ডাকা হল সকাল সাড়ে ১১টায়। আজকের আগে-পরে ডাকলে আমি (Abhishek Banerjee) বৈঠকে থাকতে পারতাম। আজকে ডাকার ফলে এটা স্পষ্ট, ভারতীয় জনতা পার্টি বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিকে আটকেছে। তাই ইন্ডি বা বিরোধী জোট গঠনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা কী সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূলকেই যে এরা আটকাতে চায়, এটা আর একবার আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুুন: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, এর আগে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার শুনানি হয়। অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বুধবার তাঁর (অভিষেকের) বিশেষ একটি বৈঠক রয়েছে। তিনি এও বলেছিলেন, “এটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। কাল তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এই ধরনের হয়রানির মানে কি?” তার প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, “সমন পাঠানো মানে কড়া পদক্ষেপ নয়। তিনি অভিযুক্ত নন। ইডির কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমন পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও বাধা নেই। গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই। আমরা যখন ইচ্ছা গিয়ে গ্রেফতার করতে পারি। গ্রেফতারির জন্য সমন পাঠানো হয়েছে এই আশঙ্কা অমূলক।”
তিনি বলেন, “এই আদালতের অন্য এজলাসেও মামলা চলছে। সেখানে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গ্রেফতার করা হবে না এই আশ্বাস পেয়েই এদিন ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।