img

Follow us on

Sunday, Apr 28, 2024

Hooghly: ১৪ বছরের সম্পর্কে পথের কাঁটা শিশু! নৃশংস খুনে গ্রেফতার মা ও তাঁর বান্ধবী

মা খুনি! হুগলির শিশু খুনে গ্রেফতার দুই

img

শিশু খুনে ধৃত মা (ডান দিকে) ও তাঁর বান্ধবী (সংগৃহীত ছবি)

  2024-02-21 15:03:36

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ বছর ধরে সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সন্তান। আর সেই পথের কাঁটা সরাতেই বান্ধবীর সাহায্যে সন্তানকে খুন করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। হুগলির (Hooghly) কোন্নগরে শিশু খুনের তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে এসেছে। এরপরই পুলিশ খুন হওয়া শিশুর মা ও তার বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম ইফফাত পারভিন ও শান্তা শর্মা।

১৪ বছর ধরে সম্পর্ক! (Hooghly)

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত ২০১০ সালে আলিপুরে কোনও একটা অনুষ্ঠানে শান্তার সঙ্গে পারভিনের পরিচয় হয়েছিল। শান্তার বিয়ে হয় ২০১২ সালে। পারভিনের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। ১৪ বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক ছিল। তবে দিন পনেরো সংসার করেই বাপের বাড়ি চলে আসেন পারভিন। এত বছরে দুই মহিলার বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি। বরঞ্চ দু’জন দুজনকে ছাড়া থাকতে পারতেন না। দু’জনের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। পরিবারও জানত, তাঁরা ‘ভালো বন্ধু’। গভীর রাত পর্যন্ত ফোনে গল্প করতেন শান্তা এবং পারভিন। বান্ধবীর ছেলে খুন হওয়ার পরদিনই হুগলির (Hooghly) কোন্নগরের আদর্শনগরে শান্তার বাড়িতে আসেন পারভিন। সমবেদনা জানান বান্ধবীকে। কিন্তু সবটাই ছিল অভিনয়। প্রথমত খুনের পরদিন অর্থাৎ, ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালবেলা শান্ত ভাবে পোষ্যকে বিস্কুট খাওয়াতে যান শান্তা শর্মা। যদিও পোষ্য কুকুর সেই বিস্কুট ছোঁয়নি। বিষয়টি চোখ এড়ায়নি  তদন্তকারীদের। দ্বিতীয়ত এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহজনক ভাবে এক মহিলার ছবি আবিষ্কার করে পুলিশ। পরে ওই মহিলা যে পারভিন, তা প্রমাণিত হয়।

ফোনের সূত্রে খোঁজ মিলল খুনির

খুনের প্রথমদিন থেকেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত ছিলেন, ছোট ওই শিশুটির নৃশংস খুনের পিছনে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কেউ জড়িয়ে আছে, যে জানত যে ওই সময় শ্রেয়াং‌শ শর্মা একাই থাকে বাড়িতে। এছাড়া বাড়ির পোষ্যটিও ঘটনার সময় চিৎকার করেনি। ফরেনসিক থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সব ধরনের পরীক্ষা চলে অকুস্থলে। শ্রেয়াং‌শকে হত্যা করতে আততায়ী বাইরে থেকে কোনও অস্ত্র আনেনি। বাড়িতে থাকা থান ইট, পিতলের মূর্তি, তরকারি কাটার ছুরি ব্যবহৃত হয়েছিল। পাশাপাশি সন্দেহকারীদের ফোনের কল ডিটেলস হাতে পেতেই তদন্তকারীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি এই জঘন্য ঘটনার নেপথ্যে কারা? পুলিশি জেরার মুখে ধৃতরা জানিয়েছে, তারা দুই বন্ধু পরস্পরকে ভালোবাসত। পুলিশের দাবি, দুজনের মধ্যে 'গভীর' সম্পর্ক ছিল। মা ও মায়ের বান্ধবীর ঘনিষ্ঠতা দেখে ফেলার জন্যই কি খুন? পুলিশের ইঙ্গিত খানিকটা সেদিকেই। প্রথমে শ্রেয়াং‌শর মা শান্তা ওরফে শ্রেয়াকে জেরা করার জন্য তুলে নিয়ে আসা হয় উত্তরপাড়া থানায়। অন্যদিকে পুলিশের অপর একটি টিম খিদিরপুর থেকে তুলে আনে ইফফাত পারভিনকে। দুজনকেই থানায় এনে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি এই ঘটনা নিয়ে উত্তরপাড়া থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস। তিনি বলেন, খুনের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দোষ স্বীকার করেছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

West Bengal

bangla news

Bengali news

Murder

Hooghly

mother

friend

child


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর