img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে 'হাইব্রিড' সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

কী এই 'হাইব্রিড' সন্ত্রাস? জানুন...

img

ভূস্বর্গে অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা (ফাইল ছবি)

  2022-05-15 14:36:40

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে (Kashmir) অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় বিহার (Bihar) ও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মৌলবীরা (Maulvi)। উপত্যকায় 'হাইব্রিড' সন্ত্রাসের (Hybrid Terrorism) জন্য তারাই দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা তথ্যে (intel note)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই নোট। তাতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরি যুবকদের বিভ্রান্ত করতে তারা গোপনে কোরান সম্পর্কে তাদের সীমিত জ্ঞানকে কাজে লাগায়।

নয়ের দশকের গোড়ার দিক থেকেই অশান্তির আঁচ পুড়তে থাকে কাশ্মীর। হিন্দু পণ্ডিতদের নির্বিচারে নিধন করে উপত্যকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয় বিজেপি। উনিশের ভোটের পর কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরে ক্রমেই নিভতে থাকে অশান্তির আঁচ। সম্প্রতি ফের কাশ্মীরে মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাস। আর এই সন্ত্রাসের শিকড় খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা। তাতেই জানা যায়, উপত্যকার তরুণদের ‘মাথা খাচ্ছে’ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীদের একাংশ।

প্রকাশ্যে আসা গোয়েন্দা নোট থেকে জানা যাচ্ছে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা জীবিকার খোঁজে কাশ্মীরে যান। সেখানে অনায়াসেই মিলে যায় ইমামের চাকরি। তারপরেই শুরু হয় আসল খেলা। ধর্মশিক্ষার নামে তৈরি হতে থাকে হাইব্রিড জঙ্গি (hybrid terrorist)।

হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী কারা? গোয়েন্দাদের মতে, যারা জঙ্গি-তালিকাভুক্ত নয়, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও একটি জঙ্গি হামলার জন্য নিয়োগ করা হয় তাদের বলা হয়ে থাকে হাইব্রিড জঙ্গি। এর সুবিধা হল, এভাবে সহজেই নিরাপত্তরক্ষীদের চোখে ধুলো দেওয়া যায়।

গোয়েন্দাদের ওই নোটে বলা হয়েছে, এই মৌলবীরা প্রথমে ইসলাম সম্পর্কে ওই তরুণদের জ্ঞান পরীক্ষা করে। পরে ‘ভাল মুসলিম’ না হওয়ার জন্য তরুণদের উপহাস করে। পরে জেহাদের জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

এই মৌলবীরা (maulvis) যে তরুণদের মাথা খাচ্ছে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে নোটে কাশ্মীরের শাঙ্গুশের উল্লেখ করা হয়েছে। এক সময় অনন্তনাগের এই তহশিল ছিল অন্যতম শান্তিপূর্ণ এলাকা। এলাকার তরুণরা সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী সহ সরকারি নানা বিভাগে কাজ করত। ২০১২-১৩ সালে এখানকার মসজিদে ‘বহিরাগত’ মৌলবীদের নিয়োগ করা হয়।

নোটে বলা হয়েছে, তার জেরে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে হিংস্র হয়ে ওঠে শাঙ্গুস। পরে পুলিশ ওই মৌলবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে জেলার বাইরে পাঠায়। তার জেরে আপাতত শান্ত ওই এলাকা। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে পুলওয়ামা, ওয়াচি, কুলগাম এবং শোপিয়ানেও।

 

Tags:

Uttar Pradesh

Jammu & Kashmir

bihar

maulvis

hybrid terrorism

intel note

intelligence


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর