Netaji: নেতাজিকে শেষ কবে ভারতে দেখা গিয়েছিল? জানুন ব্রিটিশদের চোখে 'ধুলো' দিয়ে সুভাষের মহানিষ্ক্রমণের কাহিনি
2023-01-23 18:02:37
দিনটি ছিল ১৬ জানুয়ারি ১৯৪১। ৮০ বছর আগে ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে কলকাতার বাসভবন থেকে আফগানিস্তান পাড়ি দিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেই ঘটনা ইতিহাসে নেতাজির মহানিষ্ক্রমণ নামে পরিচিত। সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল? কে কে জানতেন যে নেতাজি ছদ্মবেশে চলে যাবেন? কীভাবেই বা তিনি কলকাতা থেকে পালিয়ে আফগানিস্তানে এবং তারপর সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানি পৌঁছেছিলেন। কবে তাঁকে তাঁর মাতৃভূমিতে শেষ দেখা গিয়েছিল, সেসব তথ্যই ফের একবার দেখে নেওয়া যাক।
সাত দিনের অনশনের পর নেতাজি ১৯৪০ সালের ডিসেম্বরে কারাগার থেকে মুক্তি পান। কিন্তু তাঁকে কলকাতায় এলগিন রোডের বাড়িতে গৃহবন্দি করা হয়। তিনি ব্রিটিশ সরকারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। প্রায় দেড়মাস ধরে পরিকল্পনা করার পর তাঁর ভাইপো শিশির কুমার বসুর সঙ্গে ১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এর পর সকলের সন্দেহ এড়াতে এক মহিলা নিজেই ওই ঘরে একঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে চুপচাপ শুয়ে থাকেন। তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি জানতেন সেই রাত্রে কী হতে চলেছে। আর তিনি হলেন সুভাষচন্দ্র বসুর সেজ দাদা সুরেশচন্দ্র বসুর দ্বিতীয়া কন্যা ইলাদেবী।
সেদিন রাত ১টা বেজে ৩৫ মিনিট। মহম্মদ জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশ ধরে নেন সুভাষচন্দ্র বসু। এর পরেই ব্রিটিশদের চোখের সামনে দিয়ে বেড়িয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। সেখান থেকে শিশির এবং নেতাজির প্রথম স্টপ ছিল রিশরা। এর পর পৌঁছে যান বিহারের (বর্তমান ঝাড়খণ্ড) গোমোর রেলস্টেশনে। সেদিনই তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য মাতৃভূমি ছেড়েছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু।
নেতাজি তাঁদের বিদায় জানিয়ে কালকা মেলে চড়েন। তিনি মহম্মদ জিয়াউদ্দিন বেশে ছদ্মবেশেই দিল্লি হয়ে পেশোয়ার পৌঁছন। এরপর তিনি আফগানিস্তান হয়ে রাশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। পেশোয়ার থেকে আকবর শাহের সহায়তায় কাবুল পৌঁছে যান সুভাষচন্দ্র বসু। সেখান থেকে তারপরে ইউরোপ।
এর পর নেতাজি তাঁর ছদ্মবেশ পরিবর্তন করেন এবং একটি ইতালীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে মস্কো যান। মস্কো থেকে, তাঁকে রোমে নিয়ে যাওয়া হয়, অবশেষে ১৯৪১ সালের এপ্রিলে জার্মানিতে পৌঁছন তিনি। এর পর ১৯৪২ সালে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে দেখা করতে সক্ষম হন তিনি। সেই সময়ে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে হিটলার তাঁকে শুধুমাত্র ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে চান।
তিনি ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাপান ভ্রমণ করেন এবং জাপানি সেনাবাহিনীর সমর্থনে জাপান দখলকৃত বার্মাতে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন।
