img

Follow us on

Saturday, May 18, 2024

Sai Baba: সাইবাবার জীবন জুড়ে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী! তাঁর তিরোধান দিবসে জানুন সেই গল্প

সাই বাবার প্রকৃত নাম জানা যায় না শিরডিতে আগমনের পর তাকে "সাই" নাম দেওয়া হয়।

img

সাই বাবা।

  2022-10-15 15:53:51

শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: পুণের নামকরা ব্যক্তিত্ব, সম্ভ্রান্ত মানুষ ভীমাজী পেটেল টাঙা থেকে আশ্রমের গেটে নামলেন। দুরারোগ্য যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত তিনি। উপাসনা করে থাকেন তিনি , এমন সব ঠাকুরের কাছে মানত করেও কোনও ফল হয়নি। শীর্ণকায় শরীরে আশ্রমের দরজা  থেকে সন্ন্যাসীর  কাছ পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতাও তাঁর নেই। কঙ্কালসার দেহটিকে টানতে টানতে, ধুঁকতে থাকা ভীমা, হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে সন্ন্যাসীর পায়ে গিয়ে পড়লেন। বললেন, ‘আমাকে তুমি কৃপা করো, রোগ থেকে মুক্ত করো’। একগাল হেসে সন্ন্যাসী হেসে বললেন, 'তাঁর কৃপা হলে তুমি আবার দাঁড়িয়ে উঠবে, আবার আগের মতোই বাঁচবে’। এই কথা বলে ওই বাবাজী ধুনির পাশে জমে থাকা ভস্ম থেকে একমুঠো ভস্ম নিয়ে ভীমার মাথায় মাখিয়ে দিলেন। সামনে বসে থাকা ভক্তরা বিস্মিত হয়ে দেখলো, কঙ্কালসার হয়ে যাওয়া ভীমাজীর মৃতপ্রায় দেহটা ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। আগের থেকে তাঁর চোখমুখ অনেক উজ্জ্বল। হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই অলৌকিক ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে না পাওয়া গেলেও, ভীমাজী কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। ভক্তরা স্তম্ভিত হয়ে জয়ধ্বনি দিয়ে উঠল বাবাজীর নামে। এমন প্রচলিত বহু গল্প রয়েছে এই বাবাজী সম্পর্কে।

গল্প যাই থাকুক উনবিংশ শতকে তিনি ছিলেন এই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মগুরু। শিরডির সাইবাবা। আজ তাঁর তিরোধান দিবস। ১৯১৮ সালের ১৫ই অক্টোবর তাঁর প্রয়াণ হয়। প্রচলিত বিশ্বাস মতে, ব্রাহ্মণ ঘরে ১৮৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। অনেক ভক্তের মতে, তিনি ছিলেন সদ্গুরু, সুফি পির বা কুতুব। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়লেও, ভারতেই তিনি সর্বাধিক শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন। সাই বাবার প্রকৃত নাম জানা যায় না শিরডিতে আগমনের পর তাকে "সাই" নাম দেওয়া হয়। তার জন্ম বা জন্মস্থান সংক্রান্ত কোনও প্রামাণিক তথ্য আজও জানা যায় না। সাই বাবা তাঁর পূর্বাশ্রমের কথা জানিয়ে যাননি। সাই শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। এই শব্দের অর্থ "সাক্ষাৎ ঈশ্বর" বা "দিব্য"। ভারতীয় ভাষাগুলিতে সাম্মানিক "বাবা" কথাটির অর্থ "পিতা", অর্থাৎ, সাই বাবা নামের অর্থ "দিব্য পিতা" বা "পিতৃরূপী সন্ত"। তাঁর পিতামাতা, জন্মের বৃত্তান্ত এবং ষোলো বছর বয়সের পূর্বের কথা জানা যায় না।

আরও পড়ুন : ভোল বদলে ঢোকার চেষ্টা করছে শহুরে নকশালরা, গুজরাটবাসীকে সতর্ক করলেন মোদি

সাই বাবা পার্থিব বস্তুর প্রতি আগ্রহী ছিলেন না।  আত্ম-উপলব্ধি ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। তিনি সন্ত হিসেবে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বিশ্বের নানা অংশের মানুষ তার পূজো করেন। ভালবাসা, ক্ষমা, পরস্পরকে সহায়তা, দান, সন্তুষ্টি, আন্তরিক শান্তি ও ঈশ্বর ও গুরুর প্রতি ভক্তির শিক্ষা দিতেন। আমেদাবাদের শিরডিতে পৌঁছে লোকমধ্য তাঁর বাণী দিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। যে মসজিদে তিনি বাস করতেন, তার একটি হিন্দু নামও দিয়েছিলেন। এই নামটি হল "দ্বারকাময়ী"।  শিরডির একটি হিন্দু মন্দিরে তাকে সমাহিত করা হয়। তাঁকে ঘিরে বাংলাতেও পাঁচালী পাওয়া যায় ,  
ভিক্ষা করি চাল আনি অন্ন রন্ধন করি।
পশুপক্ষীকে দিয়ে তবে খেতেন পেট ভরি।।
কখনো আশ্রিতদের কিছু অন্ন দিয়ে।
অর্ধ পেট ভোজনেও থাকতেন তৃপ্ত হয়ে।।
ভারতেই নয়, বিদেশেও হিন্দু, মুসলিম, শিখ ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা তাঁর পুজো করে থাকেন।

Tags:

Sai Baba death anniversary

Sai Baba miracle stories

miracle stories

Sai Baba


আরও খবর


খবরের মুভি