Maldives: বেড়াতে আসুন, ভারতীয়দের কাতর আর্জি মলদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রীর, কেন জানেন?...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে টান পড়েছে পর্যটনের পেটে। যেহেতু দেশটির বাসিন্দাদের রোজগারের প্রধান উৎস পর্যটন, তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে বেড়াতে যাওয়ার অনুরোধ করলেন দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী (India Maldives Relation)। সোমবার মলদ্বীপের তরফে ভারতীয়দের কাছে এই অনুরোধ করেন সে দেশের মন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু সরকারের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। তার জেরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে মুইজ্জ প্রশাসন। তাতেও গলেনি সম্পর্কের বরফ। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই বরখাস্ত হওয়া তিন মন্ত্রীর একজন আবার ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েও একপ্রস্ত দূরত্ব তৈরি হয় ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের। এসবের জেরে মলদ্বীপের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন ভারতীয় পর্যটকরা। বিপাকে পড়ে যান দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন (India Maldives Relation)।
কারণ ফি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপ ঘুরতে যান, তাঁর আশি শতাংশই ভারতীয়। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটক মলদ্বীপে না যাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে সে দেশের পর্যটন শিল্প। মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সল বলেন, “ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের নয়া সরকার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজও করতে চায়। আমরা সর্বদা শান্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রোমোট করি। আমাদের সরকার এবং নাগরিকরা ভারতীয় পর্যটকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে আমি ভারতীয়দের বলতে চাই, দয়া করে মলদ্বীপে আসুন, মলদ্বীপ পর্যটনের অংশীদার হোন।” কাতর কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল।”
আরও পড়ুুন: “ক্ষমতায় এলেই এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করবে এনডিএ”, আশ্বাস রাজনাথের
পর্যটনমন্ত্রকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর ৪ মে পর্যন্ত মলদ্বীপে বেড়াতে এসেছেন ৪৩ হাজার ৯৯১ জন পর্যটক। অথচ গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল এই চার মাসে মলদ্বীপে ঘুরতে এসেছিলেন ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন পর্যটক। চলতি বছর এই চার মাসে দ্বীপরাষ্ট্রে এসেছিলেন ৪২ হাজার ৬৩৮ জন (India Maldives Relation)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
