img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

Delhi-Mehrauli Murder: শ্রদ্ধা খুনের তদন্তে সিবিআই? আফতাবের নার্কো পরীক্ষায় 'হ্যাঁ' আদালতের

বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে।

img

দিল্লি খুন

  2022-11-16 20:35:38

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মামলায় এবার তদন্তে নামতে পারে সিবিআই। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দিল্লি হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder Case) কিনারা করতে রীতিমতো ঘাম ঝড়ছে দিল্লি পুলিশের। এখনও বেশ কিছু তথ্য হাতে আসেনি। এই তথ্যগুলিই এই খুনের তদন্তে মিসিং লিঙ্ক বলে দাবি করেছে পুলিশ। আর সেই তথ্য খুঁজতেই ময়দানে নামতে পারে সিবিআই।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

এদিকে খুনের মামলার অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ‘নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট’- এর অনুমতি দিয়েছে সাকেত আদালত। বুধবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই ধৃতের নার্কো পরীক্ষা করানো হবে। সাধারণত খুব বড় ধরনের অপরাধে নার্কো পরীক্ষার অনুমতি দেয় আদালত। মুম্বই বিস্ফোরণের খলনায়ক আজমল কাসবের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ‘নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট’- এ ধৃতের জবানবন্দি আদালত গ্রাহ্য না হলেও এ ক্ষেত্রে তদন্তের সুবিধা হয়। অনেক না জানা তথ্যের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে এই পরীক্ষায় বলে আশাবাদী দিল্লি পুলিশ।

কী ঘটেছিল?

বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Delhi-Mehrauli Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় পরিচয় হয় দুই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে প্রেম। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর। কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Delhi-Mehrauli Murder)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Delhi-Mehrauli Murder)।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

 

 

Tags:

Delhi Murder

Shraddha Walker Murder

Aftab Poonawala


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর