img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

Nikki Yadav: ২০২০ সালেই নিক্কিকে বিয়ে করেন সাহিল? দিল্লি হত্যা মামলায় নয়া মোড়

পুলিশের দাবি, সাহিল জানিয়েছেন নিক্কিকে খুন করার কথা বীরেন্দরকে জানিয়েছিলেন তিনি।

img

নিক্কি যাদব

  2023-02-18 16:58:25

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিক্কি যাদব (Nikki Yadav) হত্যা মামলায় পরতে পরতে রহস্য। একের পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। এবার এই কাহিনীতে এল এক নয়া মোড়। নিক্কিকে নাকি ৩ বছর আগেই ২০২০ সালে বিয়ে করেছিল সাহিল। তাঁদের বিয়ের সার্টিফিকেট পুলিশের হাতে এসেছে। এরপরেই ফের নতুন করে সাহিল গেহলটকে জেরা শুরু করছে দিল্লি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন জানা গিয়েছে যে, ২০২০ সালে মন্দিরে গিয়ে নিক্কিকে বিয়ে করেছিলেন সাহিল। বিয়ের কথা সাহিল তাঁর বাবা বীরেন্দর সিংহকেও জানিয়েছিলেন। তবুও তাঁকে ফের জোর করে বিয়ে দেন বীরেন্দর।

কী জানা গিয়েছে? 

পুলিশের দাবি, সাহিল জানিয়েছেন নিক্কিকে (Nikki Yadav) খুন করার কথা বীরেন্দরকে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরেও সে দিন বিয়ে সেরে ফেলার জন্য ছেলেকে জোর করেছিলেন বীরেন্দর। দিল্লি পুলিশ বীরেন্দরকেও গ্রেফতার করেছে। বীরেন্দরের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনকেও। শুক্রবার আদালতে ওই ৫ জনকে পেশ করা হলে তাঁদের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। যে মন্দিরে নিক্কি এবং সাহিল বিয়ে করেছিলেন, সেই মন্দিরের পুরোহিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

আরও পড়ুন: "এখন রঞ্জনকে গ্রেফতার করে কী হবে?" হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নবীন (Nikki Yadav) নামে দিল্লির এক পুলিশ আধিকারিকের যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, নবীন সম্পর্কে সাহিলের মাসির ছেলে। এমনকি, খুনের প্রমাণ লোপাটে ওই পুলিশ আধিকারিক সাহিলকে সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এই মামলায় সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনের নামও জড়িয়েছে (Nikki Yadav)। পুলিশের অনুমান, সাহিলের বাবার পাশাপাশি ওই চার জন মিলে নিক্কিকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এএনআই সূত্রে খবর, বাগদান পর্ব সেরে ওই রাতেই সাহিল গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোন বার বার ফোন করছিলেন সাহিলকে। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁরা আন্দাজ করে নেন যে, সাহিল তাঁর প্রেমিকা নিক্কির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। সাহিলকে খুঁজতে গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন চার জন।

সাহিল ফোন ধরে জানান, পশ্চিম বিহারের কাছে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির হন ওই চার জন (Nikki Yadav)। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সাহিলের গাড়ির ভিতর রয়েছে নিক্কির মৃতদেহ। অভিযোগ, নিক্কির দেহ সরাতে সাহিলকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর দুই তুতো ভাইবোন এবং দুই বন্ধু। দেহ সরানোর পর আবার তাঁরা সাহিলকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। পুলিশের সন্দেহ রাগের মাথায় নয়, বরং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই নিক্কিকে খুন করেছিল সাহিল। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 

Tags:

Delhi Murder

Nikki Yadav


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর