"বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে..."
সুসময়ের দিনগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধী এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। অথচ জোটে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই রাজ্যের ৪২টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা (Lok Sabha Election 2024) করে দিয়েছে তৃণমূল। এর পরেই কংগ্রেস নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
তাঁদের মতে, যেখানে ওয়েনাড়ের সাংসদ (রাহুল গান্ধী) পা রেখেছেন সেখানেই বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইন্ডি জোট আর এক ঝটকা খেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা (Lok Sabha Election 2024) করে দিয়েছেন। এখন কংগ্রেস এখানে সেখানে খুঁজে বেড়াচ্ছে। যেখানেই রাহুল গান্ধী গিয়েছেন, সেখানেই ইন্ডি জোট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারত ন্যায় যাত্রায় পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন তাকেই নিশানা করেছেন পুনাওয়ালা। সন্দেশখালিকাণ্ডে রা কাড়েনি কংগ্রেস। পুনাওয়ালার মতে, সন্দেশখালিকাণ্ডে চুপ থাকাটা কংগ্রেসের কৌশলগত নীরবতা। ইডির আধিকারিকদের মারধর করা-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকে। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিস বা বাগানবাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। তার জেরেই সম্প্রতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছে বাংলার এক প্রত্যন্ত এলাকা সন্দেশখালি।
আরও পড়ুুন: “রাশিয়ার যুদ্ধে ফেঁসে গিয়েছি, বাঁচান”, ভারতের কাছে কাতর আর্জি ৪ নেপালির
সন্দেশখালিকাণ্ডের পর পরই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। ৫৫ দিন পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুনাওয়ালা বলেন, “সন্দেশখালিকাণ্ডে কৌশলগত নীরবতা অবলম্বন করেছে কংগ্রেস। প্রিয়ঙ্কা বঢরা এবং রাহুল গান্ধী কেউই শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কিছু বলেননি। মল্লিকার্জুন খাড়্গে আবার তাঁকে রক্ষা করছেন।” কংগ্রেসকে নিশানা করে পুনাওয়ালা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি প্রথম বলেছিলেন কংগ্রেসকে দুটি আসন নিতে, গোটা দেশে ৪০টি আসনও তিনি কংগ্রেসকে দিতে চাননি। এই তো ইন্ডি জোটের অবস্থা।”
তৃণমূল একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা (Lok Sabha Election 2024) করায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বঙ্গ কংগ্রেসের প্রধান অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি আঞ্চলিক দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রমাণ করে দিলেন, কোনও দল কিংবা নেতার তাঁকে বিশ্বাস করা উচিত নয়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
