img

Follow us on

Monday, May 20, 2024

Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

Indian Air Force: কাশ্মীর উপত্যকার দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সঙ্গে পরিচিত হতে বিশেষ অনুশীলন তেজস যুদ্ধবিমানের...

img

মহড়ায় এলসিএ তেজস (ছবি-ফাইল)

  2023-07-31 19:03:34

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্তে আকাশসীমাকে সুরক্ষা করতে আরও জোরদার প্রস্তুতি নিল ভারত। সম্প্রতি, পাক-সীমান্ত লাগোয়া জম্মু কাশ্মীরের আকাশে দেখা গিয়েছে দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) মহড়া। 

বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর ও লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে যুদ্ধবিমানগুলিকে অবগত করাতেই নাকি এই বিশেষ মহড়া চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা কর্তারা বলেছেন, উপত্যকায় উড়ানের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এলসিএ-র একটি ফ্লিটকে ফরোয়ার্ড বেসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পর্বতাঞ্চলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এই বিশেষ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, সেনার উদ্দেশ্য তেজসকে এই অঞ্চলে যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা।

মিগ-২১ বাইসন আউট, তেজস ইন!

বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাক সীমান্তের সুরক্ষার দায়িত্ব ছিল মিগ-২১ বাইসনের হাতে। এখন, ধীরে ধীরে রুশ নির্মিত এই যুদ্ধবিমানকে পাকাপাকিভাবে অবসরে পাঠাতে তৎপর কেন্দ্র। তার জায়গায় তেজস যুদ্ধবিমানকে অন্তর্ভুক্ত করাই লক্ষ্য। অর্থাৎ, নিকট ভবিষ্যতে, পাক সীমান্তের আকাশসীমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তেজস ও রাফাল। রাফালের একটি স্কোয়াড্রন আম্বালায় রয়েছে। মূলত, ভারত-পাক সীমান্তের কথা বিবেচনা করেই তাদের এই জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। এবার তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব ভাগ করে নেবে তেজস (Tejas Fighter Jet)।

তেজসের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোই লক্ষ্য

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) ওপর ধীরে ধীরে আস্থা ও নির্ভরতা বাড়াতে উদ্যোগী মোদি সরকার। প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধবিমানগুলিকে আরও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করার কাজ চলছে। বাড়ানো হচ্ছে তেজস-এর ধার-ভার ও অস্ত্রবহনের ক্ষমতা। কেন্দ্রের লক্ষ্য, আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে পুরনো, ধুঁকতে থাকা মিগ যুদ্ধবিমানকে একেবারে সরিয়ে নতুন প্রযুক্তির তেজসকে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে, জম্মু কাশ্মীরের মতো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে কী ভাবে লড়াই করতে হয়, সময় থাকতে থাকতে সেই কৌশল শিখে নেওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। 

চিন-পাকিস্তানের জেএফ-১৭ বনাম ভারতের তেজস

ইতিমধ্যে তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) দুটি স্কোয়াড্রনকে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা ইনিশিয়াল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স ও ফাইনাল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স পেয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এই দুটি স্কোয়াড্রন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এই যুদ্ধবিমানগুলি মার্ক-১ শ্রেণিভুক্ত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের তৈরি বিমানগুলি চিন ও পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি সমর্থ ও কার্যকরী। পাকিস্তান ও চিনের তৈরী জেএফ-১৭ বিমানের থেকে অনেকটাই ভালো মানের। আগামী দিনে এই লাইট ওয়েট যুদ্ধবিমানে আরও উন্নত প্রযুক্তি যোগ করা যেতে পারে। সেই নিয়ে ডিআরডিও বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করছেন বলেই সূত্রের খবর। এছাড়া, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ শ্রেণির বিমান বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে। এগুলি আরও অন্নত। মার্ক-২ শ্রেণির তেজস নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একইসঙ্গে গবেষণা চলছে অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (অ্যামকা) নিয়েও। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

Tags:

India news

Madhyom

national news

bangla news

Bengali news

defence news

Indian Air Force

LCA Tejas

tejas fighter jet

iaf tejas

tejas deploy pakistan border

pakistan border jammu kashmir


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর