সেনার এহেন আচরণ মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগের সঞ্চার করছে...
রাজনাথ সিংহ। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর সরকার চাইলেই রাজ্যে আফিম চাষ ধ্বংস করতে বায়ুসেনার বিমান ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। মেইতেইদের এক সংগঠনের দাবি, সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল তারা। তখনই রাজনাথ এই আশ্বাস দেন।
দু’ মাস হতে চলল। এখনও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটছে উত্তর-পূ্র্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরে। দিন কয়েক আগে বাড়ি থেকে এক সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। অপহৃত ওই জওয়ানের নাম সর্থো থাংকাথং কোম। ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার রাতে পশ্চিম ইম্ফল জেলার তারংয়ে তাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন উদ্ধার হয় দেহ। এহেন আবহে সম্প্রতি দিল্লি মেইতেই কো-অর্ডিনেটিং কমিটির এক প্রতিনিধিদল দেখা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের (Rajnath Singh) সঙ্গে।
চিত্রাঙ্গদার দেশে সংঘর্ষের অন্যতম কারণ হিসেবে তারা জানায়, আফিম চাষ ধ্বংস করতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ তৎপর হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে কুকি জঙ্গিরা। এর পরেই রাজ্যে আফিম চাষ ধ্বংস করতে বায়ুসেনাকে ব্যবহারের অনুরোধ জানায় মেইতেইদের ওই সংগঠন। তাদের দাবি, মণিপুর সরকার প্রক্রিয়া মেনে চিঠি লিখলে বিমান ব্যবহার করা যেতে পারে বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
মণিপুরে হিংসা রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। সেই সেনা মেইতেইদের সঙ্গে একরকম এবং কুকিদের সঙ্গে অন্যরকম আচরণ করছে বলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (Rajnath Singh) জানায় মেইতেইদের প্রতিনিধি দল। তারা জানায়, মেইতেইদের প্রতিবাদ মিছিল রুখতে লাঠিচার্জ করা হয়, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়, চালানো হয় রাবার বুলেটও। কোনও কোনও সময় গুলিও চালানো হয়। আর কুকিদের আন্দোলন রুখতে বাবা-বাছা করা হয়। এসব ব্যবহার করা হয় না।
কুকিদের সঙ্গে সেনা জওয়ানদের এহেন আচরণ মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় এবং উদ্বেগের সঞ্চার করছে। প্রতিনিধিদলের বক্তব্য, জওয়ানরা মেইতেই এবং কুকি উভয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেই একরূপ আচরণ করুক। প্রসঙ্গত, মণিপুরে হিংসার নেপথ্যে যে বহিঃশক্তির হাত রয়েছে, তা আগেই জানা গিয়েছিল একটি রিপোর্টে। মেইতেইরাও এমন দাবি করেছিলেন। স্থানীয় একটি সূত্রের খবর, সরকার আফিম চাষ বন্ধে উদ্যোগী হতেই হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে জঙ্গিরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
